উনাকোটি –
উনাকোটি হল ত্রিপুরা রাজ্যের একটি জেলা যা তার কালজয়ী ধ্বংসাবশেষের জন্য বিখ্যাত। এই স্থানের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হল খোদাই করা শিলা যা অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীদের দ্বারা খোদাই করা হয়েছিল। পাথরের উপর শিব, দেবী পার্বতী, গণেশ এবং নন্দীর মুখ খোদাই করা আছে। উনাকোটি তার পৌরাণিক কাহিনির জন্যও অত্যন্ত বিখ্যাত। আপনি গাড়ি বা ট্রেনে চেপে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারেন। (photo credit: wikimedia commons)
বড়মুড়া ইকো পার্ক –

আপনি যদি একজন শান্তিপ্রিয় এবং প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হন, তা হলে এই স্থানটি আপনার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য। এই পার্কটি জঙ্গলে ঘেরা এবং বড়মুড়া পাহাড়ি শ্রেণির মধ্যেই অবস্থিত। এই জায়গাটিতে প্রবেশ করার পর উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন ব্রিজ এবং কুঁড়ে ঘর রয়েছে। প্রতিটি কুঁড়ে ঘর এবং সেতুর নকশা অন্যটির থেকে আলাদা। এই পার্কটি গোটা সপ্তাহ জুড়ে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। (photo credit: wikimedia commons)
ডম্বুর লেক –

ডম্বুর লেকের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখলে আপনি মুগ্ধ হবেনই। এই হ্রদে ৪৮টি দ্বীপ, পরিযায়ী পাখি এবং জলজ জীবন রয়েছে। আগরতলা ডম্বুর হ্রদ থেকে মাত্র ১২০ কিলো মিটার দূরে অবস্থিত এবং ত্রিপুরার অন্যতম সেরা পর্যটন স্থান। আপনি এখানে বোটিং করতেও যেতে পারেন। বোটিং চার্জ নানা ঋতু থেকে ঋতুতে পরিবর্তিত হয় এবং প্রতি ঘণ্টার ভিত্তিতে হয়। এই জায়গাটি সারা সপ্তাহ জুড়ে খোলা থাকে। তাই আপনি যে কোনও সময় হ্রদটি দেখতে পারেন। (photo credit: pexels.com)
জাম্পুই পাহাড় –

জাম্পুই পাহাড় পরিদর্শন ছাড়া আপনার ত্রিপুরা ঘুরে আসা এক প্রকার অসম্পূর্ণ হবে। এই পাহাড়গুলি উত্তর ত্রিপুরা জেলায় অবস্থিত এবং মিজো পাহাড়ের একটি অংশ। এই জায়গাটি তার প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। আপনি পাহাড়ের আশেপাশের বেশ কয়েকটি হোটেলের যে কোনও একটিতে থাকার বন্দোবস্ত করতে পারেন। বেশির ভাগ হোটেল থেকেই আপনি পাহাড়ের সেরা মনোরম দৃশ্যগুলির সাক্ষী থাকতে পারবেন। এমনকি আপনি এই জায়গায় বেড়াতে গিয়ে পিকনিক করতে যেতে পারেন। (photo credit: wikipedia)
নীর মহল –

আপনার ত্রিপুরা ট্যুরিস্ট গাইডে অবশ্যই নীর মহল এবং এর স্থাপত্যের মাস্টারপিস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই প্রাসাদটি ১৯৩০ সালে ত্রিপুরার মহারাজা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এর সুন্দর মুঘল স্থাপত্য রীতিমতো প্রশংসনীয়। এই প্রাসাদটি আগরতলা থেকে ৫৩ কিলো মিটার দূরে এবং রুদ্র সাগর হ্রদের মাঝখানে অবস্থিত। জায়গাটিতে পৌঁছনোর জন্য আপনি একটি নৌকা ভাড়া করতে পারেন এবং প্রাসাদে পৌঁছনোর জন্য প্রায় ২০ মিনিটের যাত্রা উপভোগ করতে পারেন। প্রাসাদে প্রবেশের মূল্য পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ টাকা মাথা পিছু। আপনি যে কোনও দিন এখানে যেতে পারেন কারণ এই প্রাসাদটি সপ্তাহের সাত দিনই সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। (photo credit: wikimedia commons)
কমলা সাগর পিকনিক স্পট –

ত্রিপুরা দর্শনীয় স্থানের তালিকায় এই স্থানটি আবশ্যক। এই জায়গাটিতে একটি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে এবং এটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্যও বিখ্যাত। লোকেরা সাধারণত এখানে পিকনিকের পরিকল্পনা করে। আপনার ভ্রমণকে আরও মজাদার করার জন্য এই অঞ্চলকে তালিকায় যোগ করতে পারেন। অক্টোবর মাসে এখানে একটি দারুণ উপভোগ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।