মাওসমাই গুহা ট্রেক
মাওসমাই গুহায় যেতে হলে আপনাকে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে একটি ছোট ট্রেক করতে হবে। এটির মধ্য দিয়ে গেলে অবশ্য আপনি ভয় পাবেন না, বরং এই জঙ্গলে হাঁটা বেশ আনন্দদায়ক।
পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে মাওসমাই গুহা

মাওসমাই চেরাপুঞ্জির অন্যতম জনপ্রিয় আকর্ষণ। এই মাওসমাই গুহাটি বিশ্বের দীর্ঘতম গুহা ক্রেম লিয়াত প্রাহের সাথে তুলনা করলে আকারে কিন্তু খুবই ছোট। যেখানে ক্রেম লিয়াত প্রাহ ভয়ঙ্কর বলে মনে হতে পারে, মাওসমাই নতুনদের মধ্যে বেশ অন্য রকম। এই গুহায় প্রবেশ করতে গেলে দর্শকদের মাথা পিছু ২০ টাকা করে দিতে হবে। ক্যামেরার জন্য অতিরিক্ত ২০ টাকা করে চার্জ করা হবে।
মাওসমাই গুহার ভেতরে কী দেখবেন ?

এই গুহার ভিতরে শুধু মাত্র ১৫০ মিটার দূরত্ব পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। গুহার অভ্যন্তরের বাকি অংশ অফ লিমিট বা পর্যটকদের জন্য খোলা নয়। গুহার ভেতরে ঢুকে বেড়ানোর সময়ে করার সময়, গুহার মেঝেতে লো ওভারহ্যাং এবং অসম তলদেশ থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকুন। তা না হলে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারেন।
কেমন ভাবে প্রবেশ করবেন ভেতরে ?

মাওসমাই গুহার একটি বড় প্রবেশ দ্বার রয়েছে। এক বার ভিতরে গেলে কিছু জায়গায় একটি শক্ত চাপ বা আঁটোসাঁটো বোধ করতে পারেন। কিছু জায়গা এতটাই সঙ্কুচিত যেম আপনাকে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হবে তার ভেতরে। এই গুহাটি প্রতি দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
মাওসমাই গুহার ভিতরে আছে জীবাশ্ম –

মাওসমাই গুহা ফসিলের জন্য জনপ্রিয়। এই জীবাশ্ম (বা এম্বেডেড সামুদ্রিক জীব) দেখতে চাইলে আপনাকে মন দিয়ে গুহার ভেতরের দেওয়াল এবং বিভিন্ন গঠন অধ্যয়ন করতে হবে। গুহার মেঝের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীও রয়েছে।
মোদ্দা কথা, সব মিলিয়ে এই মাওসমাই গুহা বেশ রোমাঞ্চকর। এখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও হবে বেশ অনন্য, সে কথা হলফ করে বলা যায়।