কাইনা হিল স্টেশন
কাইনা হিল স্টেশনটি মূলত মণিপুরের রাজধানী শহর ইম্ফলে অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৯২১ মিটার উপরে অবস্থিত। কাইনা হিলে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। সে কারণে এখানে তীর্থযাত্রীদ্রে ভিড়ও লেগে থাকে বছর ভর। কাইনা পাহাড়ের গা ঘেঁষেই রয়েছে কাইনা শৈল শহর। এখানে গেলে ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী নৃত্যের সাক্ষী হতে পারেন। যে কোনও মণিপুরী উৎসবে এই নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।কাইনা হিল স্টেশন
কাইনা হিল স্টেশনটি মূলত মণিপুরের রাজধানী শহর ইম্ফলে অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৯২১ মিটার উপরে অবস্থিত। কাইনা হিলে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। সে কারণে এখানে তীর্থযাত্রীদ্রে ভিড়ও লেগে থাকে বছর ভর। কাইনা পাহাড়ের গা ঘেঁষেই রয়েছে কাইনা শৈল শহর। এখানে গেলে ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী নৃত্যের সাক্ষী হতে পারেন। যে কোনও মণিপুরী উৎসবে এই নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
ফাংরেই পাহাড়

পর্বতপ্রেমী পর্যটকরা মণিপুর দেখার সুযোগ পেলে অবশ্যই ফাংরেই পাহাড়ে যাবেন। ভ্রমণকারীরা এখানে ট্রেকিং এবং হাইকিং উপভোগ করতে পারেন। এখানকার শীতল আবহাওয়া যেন দশ দিক থেকে আকর্ষণ করে। ফাংরেই পাহাড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ এবং হোটেল। এই সব হোটেলগুলি থেকে ফাংরেই পাহাড়ের আড়াল থেকে সূর্যোদয় দেখতে পারবেন স্বচক্ষে। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সূর্য ওঠার এই দৃশ্য দেখে পর্যটকরা আনন্দে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফোটোগ্রাফির সেরা স্থান এটি। এই পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু সিনেমার শুটিং-ও হয়েছে।
কোরিফাবা পাহাড়

পাহাড়ের কোলে নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে চাইলে চলে যেতে পারেন কোরিফাবা পাহাড়ে। এই পাহাড়টি মণিপুরের প্রধান শহরে অবস্থিত। এই পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার পূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এর টানেই পর্যটকরা এখানে হাজির হন। গরমকালে এখানে ভিড় বেশি হয়। লাই হারোবা উৎসব কোরিফাবা পাহাড়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরব। ধর্মপ্রাণ মানুষ নিয়ম নিষ্ঠা ভরে এই উৎসব পালন করেন। উৎসব সারা রাত চলতে থাকে। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হল সাবেকি স্থানীয় নৃত্য। পর্যটকরাও এই উৎসব উপভোগ করতে ভালোবাসেন।
কংচুপ পাহাড়

বাঙালির যেমন দিঘা বা দার্জিলিং, তেমনই উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের কাছে কংচুপ পাহাড় একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও পর্যটকরা এখানে যান পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বিশেষ করে শীতকালে এটি হয়ে ওঠে সেরা পিকনিক স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। নাগরিক কোলাহল এবং দূষণ থেকে কটা দিনের মুক্তি চাইলে কংচুপ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
ল্যাঙ্গোল পাহাড়ের চূড়া

প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়লে সব ছেড়েছুড়ে পালিয়ে যেতে পারেন মণিপুরের ল্যাঙ্গোল হিল পিকে। এই হিল স্টেশন পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে। গরম কালে এখানে বেশি ভিড় হয়। এখানকার জলপ্রপাত, কুয়াশাচ্ছন্ন ঘেরা পাহাড় এবং মনোরম দৃশ্যই প্রধান ইউএসপি। এই হিল স্টেশনটিতেও বেশ কিছু উৎসব পালিত হয়। এখানকার বাসিন্দাদের উপার্জনের প্রধান উপায় পর্যটন শিল্প। ফোোগ্রাফারদের এই স্থান খুব ভালো লাগবে।
কিশা পর্বত

মণিপুরের অন্যতম সেরা হিল স্টেশন হল কিশা পর্বত। স্থানীয় লোকজন এই পাহাড়ি এলাকাকে বলেন কাচাখাও। এই হিল স্টেশনটি তামেংলং অঞ্চলের কেন্দ্রীস্থলে অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ। এই হিল স্টেশনে প্রধানত জেলিয়ানগ্রং উপজাতির মানুষেরা বসবাস করেন। এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এই পাহাড়ি স্থানটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। তাঁদের দাবি, এখানকার জল অত্যন্ত পবিত্র। এই জলে স্নান করলে সমস্ত রোগ সেরে যায়। এখানকার জল পান করলেও রোগমুক্তি ঘটে।