Hill Stations: গরমে ঘুরে আসুন উত্তর-পূর্বের এই বাজেট ফ্রেন্ডলি শৈল শহরগুলি থেকে

Spread the love


গরমের ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেক জল্পনা চলে। অনেক সময় সারা বছর ধরে প্ল্যান করার পরও দার্জিলিং, সিমলা কিংবা মানালি ছাড়া অন্য কোনও পর্যটন স্থলের নাম মনে পড়ে না। উত্তরবঙ্গ বা উত্তর ভারত তো বেড়াতে যাওয়াই হয়, এবার বরং একটু স্বাদ বদলানো যাক। গরমের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে। অবসরযাপনের জন্য এগুলির চেয়ে প্রাণবন্ত স্থান হয়তো পাবেন না। পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে ঘূর্ণায়মান পথ, পাহাড়ি উপত্যকা, অভয়ারণ্য, ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ আর অভিনব উৎসবে সদাই যেন মুখরিত থাকে দেশের এই অঞ্চল। তাই স্বপরিবারে সেই সব স্থানে গিয়ে হাজির হলে ছুটিটা নেহাত মন্দ কাটবে না। সত্যি কথা বলতে কী, উত্তর-পূর্বের এই স্থানগুলিতে বেড়াতে গেলে বিদেশ ভ্রমণের সখ অনেকটাই মিটে যাবে। এবং পুরোটাই হবে নিজের বাজেট অনুযায়ী। (photo credit: istock.com)

শিলং, মেঘালয়

মেঘালয়ের রাজধানী শিলং ছবির মতো সুন্দর এক শৈলশহর। এই পাহাড়ি শহরকে বলা হয় ভারতের স্কটল্যান্ড। তবে সত্যি কথা বলতে কী শিলং-এর সৌন্দর্য্য নিজের চোখে দেখার পর স্কটল্যান্ডকেই মনে হবে ইউরোপের শিলং। প্রকৃতিদেবী তাঁর সমস্ত আশীর্বাদ এবং সৌন্দর্য্য এই ছোট্টো শহরকে ঢেলে দিয়ে দিয়েছেন। পাহাড়, ঝর্না, জঙ্গল, আবহাওয়া– একের থেকে একটা অসাধারণ। শিলং-এর এলিফ্যান্ট ফলস্ দেখলে মুখ হাঁ হয়ে হয়ে যাবে। দেখলে মনে হয় অনেকগুলি হাতি যেন সুর দিয়ে ক্রমাগত জল ফেলছে। খাতায় কলমে শহর বলা হলেও আদতে শিলং একটি পাহাড়িয়া গ্রাম। এর সর্বোচ্চ অংশটির নাম শিলং পিক বা চূড়া। এই চুড়োয় দাঁড়িয়ে গোটা শহরকে দেখা যায়। শিলং-এর উমিয়াম হ্রদটিও অপূর্ব। এর নৈঃসর্গিক পরিবেশে সময় কাটাতে ভালো লাগবে। ঘুরে নিতে পারেন ডন বস্কো মিউজিয়াম, ওয়ার্ডস্ লেক, লেইটলাম ক্যানিয়ন, মেরি হেল্প মি খ্রিস্টান ক্যাথিড্রাল। আর শিলং যখন গেছেন তাহলে চেরাপুঞ্জিতে অবশ্যই যাবেন। বিশ্বের একমাত্র জায়গা যেখানে সারা বছর বৃষ্টি হয়। (photo credit: istock.com)

জাম্পুই পাহাড়, ত্রিপুরা

জাম্পুই পাহাড়, ত্রিপুরা

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈল শহর হল জাম্পুই পাহাড়। মনোরম জলবায়ু এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণে জাম্পুই পাহাড়কে চির বসন্তের পাহাড় বলা হয়। ঘন সবুজ অরণ্য, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য এবং প্রাকৃতিক বাগানের দূশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন। বেটলিংচিপ, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কাঞ্চনপুরের মতো বিভিন্ন স্থান ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও জাম্পুই পাহাড়ের কাছাকাছি আরও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান হল উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, ধলাই আমবাসা বাজার ইত্যাদি। (photo credit: istock.com)

জুকোউ উপত্যকা, মণিপুর

জুকোউ উপত্যকা, মণিপুর

আমাদের বিশ্বের একটুকরো স্বর্গে কটা দিন কাটাতে চাইলে চলে যান মণিপুরের Dzukou উপত্যকায়। আর সেখানকার সেরা ও বাজেট ফ্রেন্ডলি শৈল শহর হল জুকোউ উপত্যকা। ভ্রমণের সেরা সময় মার্চ থেকে জুন মাস। এখানকার মনোমুগ্ধকর সবুজ বনের সান্নিধ্য যেমন উপভোগ করতে পারেন, তেমনই এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখ এবং মনকে শান্তি দেবে। জুকোউ উপত্যকা নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত। এখানে জাপফু রেঞ্জের ট্রেক এবং উপত্যকার শিখরে ক্যাম্পিং-এর অনবদ্য অভিজ্ঞতা ভ্রমণকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে। (photo credit: pexels.com)

তাওয়াং, অরুণাচল প্রদেশ

তাওয়াং, অরুণাচল প্রদেশ

শীতকালে অরুণাচলের প্রশাসনিক সদর শহর তাওয়াং-এ গেলে মনে হবে যেন তিব্বতে বেড়াতে এসেছেন। স্ফটিক নীলের মতো জলের হ্রদ নিজের চোখে দেখতে গেলে এখান চলে আসুন। এছাড়াও ট্রেকিং, রাফটিং সবই করতে পারবেন এখানে। তাওয়াং মনাস্ট্রি, যশবন্ত গড়, জং জলপ্রপাত, সঙ্গেতসর হ্রদ, তাওয়াং ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরে নিতে পারেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার উঁচুতে অবস্থিত তাওয়া শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখান থেকে ইন্দো-চিন সীমানা দেখতে পাওয়া যায়। গুড়পি এবং চং-চুগমি পর্বতমালা, তাওয়াং চু নদী এবং তাওয়াং উপত্যকা এক কথায় অপূর্ব। শ্যো গ্রামে গিয়ে মোনপা উপজাতিদের সঙ্গে দেখা করে নিন। জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে তাওয়াং যাওয়া ভালো। এই সময়ের মধ্যে অরুণাচলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। (photo credit: pexels.com)

পাসিঘাট, অরুণাচল প্রদেশ

পাসিঘাট, অরুণাচল প্রদেশ

অরুণাচল প্রদেশের আরেকটি বাজেট হিল স্টেশন হল পাসিঘাট। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা পার্বত্য স্টেশন এটি। অপূর্ব সুন্দর শৈল শহর ছাড়াও এটি রাজ্যের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি। এটি অরুণাচলের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত হওয়ায় এখান থেকে রাজ্যের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলি অনায়াসে ঘোরা যায়। এখান থেকেই নজরে পড়বে সুন্দর পাহাড় এবং সবুজ সবুজ নদী উপত্যকা। শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায় সাদা মেঘ। মেঘের ভিতর দিয়েই সকাল সন্ধের পায়চারি সেরে ফেলতে পারবেন। ফোটোগ্রাফারদের স্বর্গরাজ্য এটি। কাছেই রয়েছে চিত্তাকর্ষক নুরানাং জলপ্রপাত। স্বপরিবারে ছুটিটা মন্দ কাটবে না। (photo credit: pexels.com)

নাথুলা পাস, সিকিম

নাথুলা পাস, সিকিম

প্রকৃতির মাঝে শান্তিতে কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সিকিমের নাথুলা পাস থেকে। সঙ্গে পেয়ে যাবেন সিকিমের ইতিহাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। নাথুলা পাস হল এরাজ্যের সেরা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম। মার্চ থেকে জুন যে কোনও সময় এখান থেকে ঘুরে আসুন। স্থানটি যথেষ্ট সাশ্রয়ী পর্যটনকেন্দর। নাথুলা পাস থেকে ঘুরে আসুন বিখ্যাত বাবা হরভজন সিং মন্দির, মেরা ভারত মহান হিল এবং মন্দাকিনী জলপ্রপাত। সিকিমের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত নাথুলার থেকে রাজধানী শহর গ্যাংটকের দূরত্ব প্রায় ৫৬ কিলোমিটার। (photo credit: pexels.com)



Source link