ব্যাসিলিকা অফ বোম জেসাস
তবে হই হুল্লোড়, পার্টি, পিকনিক ছাড়াও গোয়ায় লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। এই যেমন পুরোনো গোয়ার ব্যাসিলিকা অফ বোম জেসাস গির্জার কথাই ধরা যাক। এই গির্জা নির্মিত হয় ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে। এটি ছিল গোয়ার সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারের শেষ বিশ্রামস্থল। এই গির্জায় একজন পাদরির মৃতদেহ সংরক্ষিত রয়েছে। বলা হয়, সেই মৃতদেহের নখ নাকি নিয়মিত বড় হয়। বিশেষ দিনে সেই নখ কেটে দেওয়া হয়।
কে ছিলেন এই পাদরি?

এই পাদরি হলেন স্বয়ং সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার। এই গির্জাটি ৪০০ বছরেরও বেশি পুরানো এবং প্রতিদিন পর্যটকদের জন্য খোলা হয়ে থাকে। সেন্ট ফ্রান্সিসের মরদেহ কফিনে সংরক্ষণ করে রাখা আছে।
প্রতি দশ বছর অন্তর দেহ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়

প্রতি দশ বছর পর পর এখানে সেন্ট ফ্রান্সিসের সংরক্ষিত দেহ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। এবং বছরের বিশেষ দিনে শরীরের বাড়ন্ত নখগুলিও কাটা হয়। এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গির্জায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে।
ক্যাথলিক ইতিহাস

সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার ছিলেন রোমান ক্যাথলিক ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মপ্রচারক। ভারতে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের জন্যও তিনি বিখ্যাত। আগে তিনি থাকতেন লিসবনে। এবং ৬ মে ১৫৪২ সালে তিনি গোয়ায় পৌঁছোন এবং সেখানে এসে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন।
কীভাবে গির্জা পৌঁছবেন

গির্জার খুব কাছেই রয়েছে ভাস্কো দা গামা রেলওয়ে স্টেশন। সেখান থেকে ক্যাব, ট্যাক্সি বা বাসে করে ব্যাসিলিকা অফ বোম জেসাস গির্জায় সহজেই পৌঁছানো যায়।