স্বপরিবারে গোয়া যেতে চান? তাহলে এই সৈকতগুলির খোঁজ নিতে পারেন

Spread the love


পরিবারের সঙ্গে হই হুল্লোড় করে তিন-চারটে দিন কাটাতে চাইলে গোয়ায় চলে যান। আরবসাগরের গা ঘেঁষে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা দখল করে রেখেছে আমাদের দেশের এই ছোট্টো রাজ্যটি। বিশ্বাস করুন, আট থেকে আশি সকলেই মুগ্ধ হবে গোয়ার মনোরম পরিবেশে। গোয়ায় নানা বাজেটের হোটেল, হোমস্টে রয়েছে। খাবার এবং পানীয় সেখানে বেশ সস্তা। গাড়ি, স্কুটার কিংবা জিপে চড়ে সারাদিন গোয়া ট্যুর করে ফেলতে পারেন। ডিস্কো, পাব, পার্টি, নাচ-গান সব কিছুরই অঢেল জোগান রয়েছে সেখানে। ফ্লাইবোর্ডিং, প্যারাসেলিং, জেট-স্কিইং, স্নরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং, কায়াকিং ছাড়াও বাইক রাইডিং, ডলফিন স্পটিং এনজয় করা যায়। রাতে গোয়ার জীবন অন্যরকম। তেমনই পাল্লা দিয়ে রয়েছে সেখানকার জিভে জল আনা সি ফুড।
গোয়ায় গিয়ে ঘুরে নিতে পারেন এই সৈকতগুলিতে। (photo credit: unsplash.com)

পালোলেম সৈকতপালোলেম গোয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার এবং শান্ত সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে একটি। এখানকার জল তুলনামূলকভাবে অগভীর। দক্ষিণ গোয়ায় অবস্থিত, পালোলেম বিচ স্বপরিবারে বেড়ানোর জন্য গোয়ার সেরা সৈকতগুলির মধ্যে একটি। পালোলেম সৈকতে বিদেশিদের ভিড়ই বেশি। এই সৈকতটি বেশ শান্তশিষ্ট। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম এবং রোম্যান্টিক। সৈকতের যেদিকেই তাকাবেন শুধুই সাদা বালি সৈকতটি নারকেল গাছে ঘেরা এবং এখানে আছে প্রচুর রঙিন কাঠের ছোটো ছোটো কুঁড়ে ঘর।

কোলভা বিচ

কোলভা বিচ

গ্রীষ্ম, বর্ষা ব শীত কোলভা বিচ ঘোরা যায় যে কোনও সময়। এখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যায় এখানকার সৈকতের সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। দক্ষিণ গোয়ায় অবস্থিত কোলভা বিচে সূর্যাস্ত দেখার এবং সন্ধ্যায় উপকূলরেখা ধরে হাঁটার জন্য মুখিয়ে থাকেন পর্যটকর। সমুদ্রের ধারে জেলেদের নৌকাগুলি হয়ে ওঠে ছোটোদের খেলার সাথী। এই সৈকতে বিদেশিদের থেকে ভারতীয়দের ভিড় বেশি। তাই স্বপরিবারে এখানে ভালোই লাগবে।

আগোন্ডা সৈকত

আগোন্ডা সৈকত

স্বপরিবারে সময় কাটানোর জন্য দারুণ স্থান হতে পারে দক্ষিণ গোয়ার আগোন্ডা সমুদ্র সৈকত।এটি পালোলেম এবং কোলা বিচের মধ্যে অবস্থিত। এই সৈকতের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম এবং নিরিবিলি। সমুদ্রের ধারে রয়েছে ছোটো ছোটো কুঁড়েঘর। সেখানে অতিথিরা বিশ্রাম করেন। রয়েছে সান লাউঞ্জারও। আগোন্ডাতে গোয়ার পর্যটকরা কমই যান। সাদা বালির সৈকতের ধারে নারকেল গাছের সারির দৃশ্য মনকে তরতাজা করে দেয়। এই সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্য একবার দেখলে সহজে ভুলতে পারবেন না। পারলে ঠিক সেই সময়ই বিয়ের প্রস্তাব পাড়ুন। সারা জীবন এই মুহূর্তটি মনে থাকবে। জীবনে প্রথমবার সার্ফিং করলে আগোন্ডা দ্বীপ হতে পারে আদর্শ স্থান।

কালাঙ্গুট সমুদ্র সৈকত

কালাঙ্গুট সমুদ্র সৈকত

কালাঙ্গুল সৈকতকে বলা হয় সমুদ্র সৈকতের রানি। এটি গোয়ার দীর্ঘতম সৈকত। শুধু তই নয়, কালাঙ্গুট গোয়ার সবচেয়ে ব্যস্ত এবং জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। সকাল হোক বা রাত, কালাঙ্গুট সবসময় জমজমাট থাকে। এখানে সবাই সবসময় হইহুল্লোড় করতে ব্যস্ত। এখানকার সূর্যোদয়ের সৌন্দর্য অতুলনীয়। এখানকার আবহাওয়া সবসময়ই মনোরম। তাই বছরের যে কোনও সময় কালাঙ্গুট সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসা যায়।

ডোনা পলা বিচ

ডোনা পলা বিচ

ডোনা পলা বিচের নামকরণ করা হয়েছিল পর্তুগিজ ভাইসরয়ের কন্যার নামে। তিনি একজন গোয়ান জেলের প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রেমিককে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। মেয়ের মৃত্যুর পর পর্তুগিজ ভাইসরয় সমুদ্র সৈকতের নামকরণ করেছিলেন তাঁর নামে। এখানে পানজিমের অভিজাত শ্রেণির লোকেরা সকাল এবং সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। ডোনা পলা বিচের সূর্যাস্তদেখার জন্য সন্ধ্যাবেলায় অপেক্ষা করেন পর্যটকরা।

অশ্বেম সমুদ্র সৈকত

অশ্বেম সমুদ্র সৈকত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা বিদেশি পর্যটকদের কাছে গোয়ার অশ্বেম সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত প্রিয়। উত্তর গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে পর্যটকরা এই সৈকতে আনন্দ করতে ভোলেন না। সমুদ্র সৈকতেই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন বাজেটের হোটেল এবং রিসর্ট। গোটা সৈকতকে ঘিরে রেখেছে নারকেল গাছ এবং বাঁশ গাছের সারি। হানিমুন কাপলরা এই স্থানটি খুব পছন্দ করেন। বন্ধুবান্ধব বা সঙ্গীর সঙ্গে ইচ্ছে হলেও এই সৈকত ঘুরে যান। অশ্বেম গোয়ার একটি জনপ্রিয় স্থান এবং এই সৈকতে ক্যাব, বাইক বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায়।



Source link