আপনি আসলে ঠিক কী জানতেন –
আপনি নিশ্চয়ই অনেক বার শুনেছেন যে ফ্লাইটে সন্তানের জন্মের পর তাকে সারা জীবনের জন্য বিনামূল্যে টিকিট দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। অথবা শিশুটিকে বিশ্ব নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এর অর্থ হল এই যে, সেই ব্যক্তিকে কোনও দেশে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে ভিসা নিতে হবে না এবং জন্মের সময় শিশুটিকে সেই দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় যেখান থেকে বিমানটি উড়েছে। এ কথা শুনে থাকলেও সত্যিটা হল যে, এটি একেবারেই একটি গুজব।
ফ্লাইটে শিশুর জন্য বিনামূল্যে টিকিট –

ফ্লাইটে জন্মালে কি কোনও শিশুর এয়ারটিকিট পাওয়া যায় বিনামূল্যে? এটিও এক ধরনের গুজব। কারণ কোনও এয়ারলাইন এই কথা সুনিশ্চিত করেনি। তবে হ্যাঁ, কোনও এয়ারলাইন যদি এমনটা করতে চায়, তা হলে তারা নিশ্চয়ই আনন্দের সঙ্গে নবজাতক শিশুকে এই সুযোগ দিতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, ২০১৬ সালে, সেবু প্যাসিফিক এয়ার তার প্লেনে জন্ম নেওয়া একটি শিশুকে ১০ লক্ষ গেট গো পয়েন্ট দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই পয়েন্টগুলির সাহায্যে শিশুটি যে কোনও সময় নিজের জন্য একটি টিকিট কিনতে পারে। কিন্তু আমাদের মতে, বিনামূল্যে বিমানের টিকিটের জন্য আপনার জীবন এবং আপনার সন্তানের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা উচিত নয়। কারণ কেবিন ক্রুরা ফ্লাইটে এই সব কাজের জন্য প্রশিক্ষিত নয়।
গর্ভাবস্থায় আপনি ঠিক কত মাস পর্যন্ত নিশ্চিন্তে বিমানে ভ্রমণ করতে পারেন ?

এখানে আপনার জেনে নেওয়া জরুরি যে, সপ্তম মাস বা তার বেশি অবস্থার গর্ভবতী মহিলাদের ভারতে বিমানে ভ্রমণের অনুমতি নেই। অন্য দিকে আবার নবম মাসে প্রত্যেক মহিলারই ফ্লাইট নেওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, যদি কোনও জরুরি অবস্থা তৈরি হয়, তা হলে আপনি বিমানে চেপে ভ্রমণের অনুমতি পেতে পারেন। এমন অবস্থায় অনেকের মনেই সংশয় রয়েছে যে, ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার পথে মাঝপথে যদি সন্তানের জন্ম হয়, তা হলে তাকে কোথায় জন্মস্থান দেওয়া হবে অর্থাৎ সে কোন দেশের নাগরিকত্ব পাবে?
এ ভাবেই সিদ্ধান্ত হয় কোনও শিশুর নাগরিকত্ব –

সে ক্ষেত্রে ফ্লাইটে শিশুর জন্মের সময় দেখতে হবে জন্মের সময় কোন দেশের সীমানা থেকে উড়ছে। এখন ফ্লাইটটি যেখানে অবতরণ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শিশুটির জন্মের শংসাপত্র চাইবে। এমন অবস্থায় দেশের সীমান্তে উড়ানের সময় শিশুর জন্মের সনদে জন্মের স্থান একই থাকবে। যাই হোক, সন্তানেরও তার পিতামাতার দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের অধিকার রয়েছে।