শীতের দুপুরে এখানে রোদ পোয়াতে আসে লাল কাঁকড়ার দল, নতুন বছরে বেড়িয়ে আসুন এই সমুদ্র সৈকত থেকে

Spread the love


দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর

দিঘা-মন্দারমনি এখন ভিড়ে ঠাসা। মেলায় ঘোরা আর দিঘার সৈকতে ঘোরা দুটোই সমান জিনিস হয়ে গিয়েছে। কাজেই দিঘা অনেকেই আর যেতে চাইছেন না। তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে একেবারে নিরিবিলি একটা জায়গা দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর। একেবারে নিরিবিলি একটা সমুদ্র সৈকত। অনেক পর্যটকই এখনও জানেন না পূর্বমেদিনীপুরের এই জায়গাটির কথা। অথচ নিরিবিলি শান্ত এই সমুদ্র সৈকতে গেলে মন ভরে যাবে পর্যটকদের।

লাল কাঁকড়ার দেশ

লাল কাঁকড়ার দেশ

পুরুষোত্তমপুরের সমুদ্র সৈকতকে অনায়াসেই বলা যেতে পারে লাল কাঁকড়ার দেশ। এখানে শীতকালে অসংখ্য লাল কাঁকড়া দেখা যায় সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্থানীয়রা একে বলে লাল কাঁকরার বিচ। জনহীন সমুদ্রকেই এই লাল কাঁকড়া বেছে নেয়। শীতের দুপুরে যাকে বলে পালে পালে লাল কাঁকড়া সমুদ্র থেকে উঠে আসে। রোদ পোয়ানোর মতই সমুদ্রের বালিয়াড়িতে ঘুরে বেড়ায় তারা। এক বিরল দৃশ্য। যাঁরা দেখেছেন তাঁরাই কেবল আঁচ করতে পারবেন সেই সুন্দর অভিজ্ঞতার কথা। বালির মধ্যেই বাসা করে থাকে এই লাল কাঁকড়াগুলি। বেলা গড়ালেই তারা দলে দলে সমুদ্রের দিকে ছুটে চলে।

কীভাবে যাবেন

কীভাবে যাবেন

দিঘা শঙ্কর পুর যাওয়ার রাস্তাতেই রয়েছে দক্ষিণ পুরষোত্তমপুরের যাওয়ার রাস্তা। দিঘা থেকে ২৫-২৬ কিলেমিটার দূরে দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর। গাড়ি যাওয়ার সুন্দর রাস্তা রয়েছে এখানে যাওয়ার। কাজেই কলকাতা থেকে যাঁরা গাড়ি নিয়ে যেতে চান তাঁরা দিঘা শঙ্করপুর হয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যাবে। দিঘাও দেখা হয়ে যাবে আবার পুরুষোত্তমপুরের মত নির্জন সমুদ্র সৈকতও দেখা হয়ে যাবে।

কোথায় থাকবেন

কোথায় থাকবেন

এখানে থাকার জায়গা বলতে রামকৃষ্ণ আশ্রম রয়েছে। ব্যারাকপুরের বিবেকানন্দ মঠের শাখা এটি। সেখানে অতিথি নিবাসে থাকা যেতে পারে। তবে এখানে আসার আগে ফোন করে আসতে হবে তবেই খাবার পাবেন। নইলে খাবার পাওয়া যায় না। সবচেয়ে সস্তার থাকার জায়গা। খুব কম খরচে খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে পাঁচ তারা হোেটলের সুবিধা এখানে মিলবে না। আশ্রমে েযমনটা মেলে তেমনটাই পাওয়া যাবে। খাবারও খুব ভাল মানের। সারাদিন সমুদ্র সৈকতে কাটিয়ে আশ্রমের বারান্দা থেকে রাতের সমুদ্র উপভোগ করতে পারেন।



Source link