শীতকালে হাল খারাপ ! ব্যাঙ্ক বা রেস্তোরাঁ নেই, বরফে ঢাকা শহরে জিনিস দিতে যেতে হয় হেলিকপ্টারে করে

Spread the love


বিশ্বের যে কোনও আধুনিক শহরে আধুনিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতে সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকে। ব্যাঙ্ক, রেস্তোরাঁ, ভালো পরিবহণ সহ বেশ কিছু পরিষেবা। এগুলি ছাড়া শহুরে জীবনের কথা ভাবাই যায় না। অথচ এই পৃথিবীতেই এমন একটি স্থান রয়েছে যেখানে ব্যাঙ্ক রেস্তোরাঁ ইত্যাদি কিছুই পাবেন না। পরিবহণের বিশেষ সুবিধা নেই। নাগরিকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় হেলিকপ্টারে করে। রাস্তায় যান চলাচল যেমন দেখা যায় না, তেমনই স্থানীয় লোকজনও পথে বিশেষ বের হন না। রাস্তায় লোকজন এতই কম যে প্রাথমিকভাবে এই শহরকে দেখে জনশূন্য বলেও ভুল হতে পারে। তাহলে চলুন, আজ আপনাদের জানাই বিশ্বের এই শীতলতম শহরের কথা, যার পোশাকী নাম লিটল ডিও মেড আইল্যান্ড। (All photo credit: wikimedia common)

হেলিকপ্টারে পণ্য পরিবহণ

এই শহরের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়, খাবার, জ্বালানির মতো জিনিসগুলো অন্য শহর থেকে দিয়ে আসে হেলিকপ্টার। প্রতি সপ্তাহে হেলিকপ্টারে দরকারি জিনিসপত্র ডেলিভারি করা হয়। কখনও আবার নৌ-যানেও পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। জানলে অবাক হবেন যে, এখানে ওয়াশিং পাউডার এবং সাবান কিনতে খরচ হয়ে যায় যায় তিন থেকে চার হাজার টাকা। এখানে শুধুমাত্র একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম আছে, এবং তাও শুধুমাত্র শিশুদের স্কুলে।

কোথায় এই জায়গা

কোথায় এই জায়গা

আমেরিকার এমনিতেও অত্যন্ত ঠান্ডা জায়গা। এখানকার তাপমাত্রা প্রায়ই মাইনাসে চলে যায়। কিন্তু এখানকার লিটল ডিও মেড আইল্যান্ডও কম নয়। এই স্থান থেকে রাশিয়ার দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। এবং এই শহরের বিস্তৃতি চার বর্গ কিলোমিটার। রাশিয়ার বিগ ডায়োমেড দ্বীপ এই শীতল শহরে নিকটবর্তী স্থান। এই দুটি দ্বীপের মধ্যে রয়েছে নীল সমুদ্র।

বরফের সেতু হয়ে যায়

বরফের সেতু হয়ে যায়

আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই দুই দ্বীপই দুটি দ্বীপই আলাস্কার কাছে বেরিং উপসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। জানলে অবাক হবেন যে, লিটল ডিও মেড আইল্যান্ডে বাস করেন মাত্র ৮০ জন। শীতের মরশুমে দুই দ্বীপের মাঝের জল পুরোপুরি জমে যায়, যার কারণে এটি নিজেই একটি বরফের সেতুতে পরিণত হয়ে পড়ে। আর ভালো ব্যাপার হল, এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াত করতে পারেন।

এই জায়গার তাপমাত্রা কত?

এই জায়গার তাপমাত্রা কত?

গ্রীষ্মকালে এই জায়গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এবং শীতকালে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এই কারণে এখানে অনেক বন্য এবং ভয়ঙ্কর শিকারীও দেখা যায়। এই জায়গায় ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটার বেগে বরফের বাতাস বয়।

এখানে মানুষ কীভাবে বাস করেন

এখানে মানুষ কীভাবে বাস করেন

১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে নির্মিত এই স্থানে প্রায় ২৫টি ভবন রয়েছে। এই সব ভবনে একটি স্কুল এবং একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে। এই এলাকাটি খুবই পাথুরে এবং এই কারণে এখানে রাস্তা তৈরি হয়নি। এখানে কোনও ব্যাঙ্ক বা রেস্তোরাঁ নেই।



Source link