মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের চেয়ে গাড়ি কেনার খরচ কম, স্বপ্ন দেখার আগে সেই খরচ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার

Spread the love


বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম এভারেস্ট। আমাদের হিমালয় পর্বতেরও সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এটি। ছোটোবেলায় সাধারণ জ্ঞান বা ভূগোল বই কিংবা কিশলয়ে এই এভারেস্টের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গটির উচ্চতা ৮৮৪৮.৬ মিটার। বিজ্ঞানীদের দাবি, মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রতি বছর ২ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভারেস্ট শৃঙ্গ প্রথম জয় করেন তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি। এর পরেও বহু পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন। আসলে এবারেস্টে উঠতে অনেক সাহস, উদ্যম এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। আপনিও যদি ওই পর্বতারোহীদের মতো মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে চান তাহলে এই সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দরকারি তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন।

শারীরিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন

মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। যারা সত্যিই এই শৃঙ্গে উঠতে চান, তাঁরা মাসের পর মাস এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। আরোহণের জন্য সঠিক আবহাওয়ার অপেক্ষা করতে হয়।

এভারেস্ট আরোহণের সেরা সময় কোনটি?

এভারেস্ট আরোহণের সেরা সময় কোনটি?

বেশিরভাগ পর্বতারোহী মে মাসে পাহাড়ে আরোহণের চেষ্টা করেন। সাধারণত ১৫ মে-এর পরে। তখন আবহাওয়া তুলনামূলক গরম থাকে এবং ঠান্ডা বাতাস পাহাড় থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। অভিজ্ঞদের কথায়, এভারেস্ট যেতে গেলে বর্ষার ঠিক আগে ঘুরে আসা ভালো। অবিরাম বৃষ্টি হলে পর্বতারোহীরা এভারেস্ট অঞ্চলে যাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এই সময় এই স্থান পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আবহাওয়া ঠিক না থাকলে এভারেস্টে ওঠা সম্ভব নয়।

এভারেস্ট যাত্রা কোথায় শুরু হয়?

এভারেস্ট যাত্রা কোথায় শুরু হয়?

মাউন্ট এভারেস্ট নেপাল এবং তিব্বত সীমান্তের মাঝে অবস্থিত। যদিও এখানে পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি পথ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ পর্বতারোহীই সাধারণত দুটি পথ বেছে নেন। নেপালের দক্ষিণ রুট এবং তিব্বতের উত্তর রুট। বেশিরভাগ ট্রেকিং সংস্থাগুলিই নেপালে অবস্থিত। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে শুরু করে, দক্ষিণ রুটে আরোহণকারী লোকেরা লুকলা গ্রামে পৌঁছায় এবং যাত্রী বেস ক্যাম্পে পায়ে হেঁটে তাদের যাত্রা শুরু করে। তিব্বতে থেকে এভারেস্ট আরোহণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এভারেস্টে উঠতে কত সময় লাগে?

এভারেস্টে উঠতে কত সময় লাগে?

মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে। এতে শেরপা গাইডরাও পর্বতারোহীদের সঙ্গে যান। এঁরা প্রায় ১৭ হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভ্রমণ করে। তারপর তাঁরা প্রায় দুই সপ্তাহ এখানে অবস্থান করেন এবং আবহাওয়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। বেশিরভাগ পর্বতারোহী হিমালয়ে পৌঁছানোর কথা চিন্তাভাবনা করেই কয়েক মাস ব্যয় করে ফেলেন।

এভারেস্ট আরোহণ একটি গাড়ি কেনার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল

এভারেস্ট আরোহণ একটি গাড়ি কেনার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল

মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের চেয়ে গাড়ি কেনার খরচ কম। এর জন্য পর্বতারোহীকে এভারেস্টে উঠতে গেলে ২৪,৬৭,০০৫ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। নেপাল বা তিব্বত সরকারের কাছ থেকে ক্লাইম্বিং পারমিট, বোতলজাত অক্সিজেন এবং হাই অ্যাল্টিটিউড গিয়ারের জন্য ৯,০৪,৫৬৮ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ এবং বুট।

একবারে কতজন উঠতে পারেন

একবারে কতজন উঠতে পারেন

কে কে উপরে উঠবেন তা পর্বতাহিরা নিজেরাই ঠিক করেন। তবে কতজন এভারেস্টে উঠতে পারবেন তার কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই।



Source link