ভারতের এই ৫ রেলস্টেশন যাত্রীদের নিয়ে সোজা পাড়ি দেয় বিদেশে, ফ্লাইটের টাকা বাঁচাতে বেরিয়ে পড়তে পারেন

Spread the love


আমাদের দেশের উত্তরভাগকে মোটামুটিভাবে সাতটি দেশ ঘিরে রেখেছে। মানে এই সাত দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ভারত। তালিকায় আছে চিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার। প্রতিবেশী দেশ ভ্রমণের ইচ্ছে কম বেশি অনেকেরই থাকে। তবে আপনি কি জানেন যে এই দেশ, বরং বলা ভালো বিদেশগুলিতে ট্রেনে চেপেও যাওয়া যায়? হ্যাঁ, আমাদের দেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার ট্রেন মেলে। আমাদের দেশে এমন কয়েকটি রেলস্টেশন আছে যেখান থেকে বিদেশ যাওয়ার ট্রেন ছাড়ে। আজ্ঞে হ্যাঁ, আদ্যোপান্ত বিদেশ। পাসপোর্ট ভিসা নিয়েই সেসব দেশে ঢুকতে হয়। তবে হ্যায়, বিমানের মতো অতটা খরচ করতে হয় না। (photo credit: pexels.com)

পেট্রাপোল রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ (উত্তর ২৪ পরগনা)

আমাদের উত্তর ২৪ পরগানা জেলার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটে অবস্থিত পেট্রাপোলের কথা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। এই রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশের পণ্য আমদানি-রফতানির কাজ হয়। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য প্রথমে বন্ধন এক্সপ্রেসে উঠতে হবে। এই ট্রেন উঠতে গেলে যাত্রীর একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকা থাকতে হবে। (photo credit: wikipedia)

হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ (কোচবিহার)

হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ (কোচবিহার)

পেট্রাপোলের পর হলদি বাড়ি। কোচবিহারের এই ছোটো শহরটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতের সীমানা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের চিলাহাতি স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত। হলদিবাড়ি-চিলাহতি রেল রুটের উদ্বোধন হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। এবং ২৬ মার্চ ২০২১ সালে চালু হযেছিল মিতালি এক্সপ্রেস। এই এক্সপ্রেস শুরু হয় নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে। এবং ঢাকা পৌঁছানোর আগে হলদিবাড়িতে থামে। (photo credit: indiarailinfo.com)

সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (মালদা)

সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (মালদা)

মালদা জেলায় রয়েছে সিঙ্গাবাদ রেলস্টেশন। সিঙ্গাবাদ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বাংলাদেশ। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন এখান দিয়ে চলে না। অবশ্য, এখানকার লোকজন যে সিঙ্গাবাদ স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চান না, তা নয়। নানা সময়ে রেল চালু করার দাবি উঠেছে। কিন্তু এখানে রেলগাড়ি থামে না। এই পথ দিয়ে মাত্র দু’টি ট্রেন এই পথ দিয়ে যায়। সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়েই যেতে হয় তাদের। সেগুলি হল মৈত্রী এক্সপ্রেস ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ১। ২০০৮ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি রোহনপুর স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও, বাংলাদেশ থেকে পণ্য ট্রেনগুলি নেপালে পৌঁছানোর জন্য এই স্টেশনটি ব্যবহার করা হয়। (photo credit: unsplash.com)

জয়নগর রেলওয়ে স্টেশন, বিহার

জয়নগর রেলওয়ে স্টেশন, বিহার

বিহারের মধুবনি জেলায় অবস্থিত এই রেলওয়ে স্টেশনটি ইন্দো-নেপাল সীমান্তের নিকটে অবস্থিত। মজার বিষয় হ’ল স্টেশনটি রয়েছে প্রতিবেশী দেশ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। এবং জনকপুরের কুর্থা স্টেশন দিয়ে নেপালের সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও, একটি আন্তঃ ভারত-নেপাল সীমান্ত যাত্রী ট্রেন এই দুই রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে চলে। সম্প্রতি এখানে রেল পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছিল। এবং উভয় দেশের যাত্রীদের এই আন্তর্জাতিক ট্রেনে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন নেই। (photo credit: wikipedia)

রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ (উত্তর দিনাজপুর)

রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ (উত্তর দিনাজপুর)

উত্তর দিনাজপুরের রধিকাপুর রেল স্টেশনটি একটি জিরো-পয়েন্ট রেলওয়ে স্টেশন। ইন্দো-ব্যাংলাদেশ সীমান্তে এটি ট্রানজিট স্টেশন হিসেবে কাজ করে। এই সীমান্ত রেলওয়ে স্টেশনগুলি সাধারণত অসম এবং বিহার থেকে বাংলাদেশে পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের রেললাইনটি বিরল রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত। (photo credit: indiarailinfo.com)



Source link