ভারতের এই রেলস্টেশনগুলি দেখতে রাজপ্রাসাদের মতো, এর সামনে বিমানবন্দরও যেন ফেল!

Spread the love


রেলস্টেশনের নাম শুনলেই সবার আগে মাথায় আসে ট্র্যাকের উপরে পড়ে থাকা আবর্জনা, পান মশলার দাগ, খালি প্লাস্টিকের বোতল, চিপস্-এর প্যাকেট, প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকা মানুষ আর কোণায় কোণায় পড়ে থাকা ময়লা। অস্বীকার করে লাভ নেই, আমাদের দেশের বেশিরভাগ রেলস্টেশনের অবস্থাই এই রকম। এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন হাওড়ার অবস্থাও তথৈবচ। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেল স্টেশনগুলির চিত্র পরিবর্তনের কাজ চলছে। রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু স্টেশন তো তাদের নতুন উন্নত রূপ পেয়েও গেছে।

ভারতের অনেক রেলস্টেশনের চেহারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। রেল স্টেশনগুলি সুবিধা এবং সৌন্দর্যের দিক দিয়ে যে কোনও এয়ারপোর্টকে যেন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তালিকায় আছে দেশের পাঁচটি রেলস্টেশন। সেখানে গেলেই চোখে পড়ে চমৎকার পরিকাঠামো, যাত্রীদের জন্য উন্নত মানের পরিষেবা, সুবিধা, আলো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এই স্টেশনগুলিতে গেলে মনে হবে যেন বিমানবন্দরে এসেছেন। তাহলে চলুন, দেশের এই আন্তর্জাতিক মানের রেলওয়ে স্টেশনগুলি সম্পর্কে একবার জেনে নেওয়া যাক। (photo credit: ranikamalapatirailwaystation.com)

রানি কমলাপতি রেলওয়ে স্টেশন

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের এই রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের গর্ব। আগে এটি হবিবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পুনর্নির্মাণের পর এর চেহারার যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনই পরিবর্তিত হয়েছে এর নাম। এখন এটি রানি কমলাপতি রেলওয়ে স্টেশন নামে পরিচিত। এই স্টেশনের ভিতরে যে শুধু কেনাকাটা করা যায় তা নয়, খাবার খাওয়া এমনকী সিনেমাও দেখা যায়। এই স্টেশনে রয়েছে একটি সিনেমা হল। এই রেলওয়ে স্টেশনটিকে জার্মানির হাইডেলবার্গ রেলওয়ে স্টেশনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এটি ভারতের প্রথম ISO প্রত্যয়িত রেলওয়ে স্টেশন। ফাইভ স্টার সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এই বিশ্বমানের রেলস্টেশনটি লোকজনের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। (photo credit: ranikamalapatirailwaystation.com)

গান্ধিনগর রেলওয়ে স্টেশন

গান্ধিনগর রেলওয়ে স্টেশন

এই স্টেশনটিও খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি হতে চলেছে। স্টেশন উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রায় ১৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এটিকি বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশনে রূপান্তর করা হচ্ছে। একাধিক বিশেষত্বের কারণে গুজরাতের এই স্টেশন সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। এই রেলস্টেশনের সবকটি ভবনই হবে নেট জিরো এনার্জি ভিত্তিক ভবন। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের মতো প্রযুক্তিও এখানে উপস্থিত থাকবে। সব মিলিয়ে একটি উন্নত দেশের রেলস্টেশনে যা থাকা উচিত তার প্রায় সবই সেখানে আছে। এই স্টেশনে গেলে ভারতীয় রেলস্টেশনের প্রতি যাত্রীদের দৃষ্টিভঙ্গিই নাকি বদলে যাবে। (photo credit:wikimedia commons)

বিশ্বেশ্বরায় রেলওয়ে স্টেশন

বিশ্বেশ্বরায় রেলওয়ে স্টেশন

বেঙ্গালুরুর একটি রেলস্টেশনকে বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এর নাম বিশ্বেশ্বরায় রেলওয়ে স্টেশন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এটি ভারতের প্রথম রেলস্টেশন। এখানে আপনি বিমানবন্দরের মতো সব সুবিধা পাবেন। বিশুদ্ধ জলের জন্য এখানে একটি রি-সাইক্লিং ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এই সেন্ট্রালাইজড এসি টার্মিনাল তৈরিতে ৩১৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। (photo credit :wikipedia)

ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস

ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস

এটি ভারতের ব্যস্ততম এবং বিখ্যাত রেলওয়ে স্টেশন। খুব শিগগিরই বদলে যেতে চলেছে এই স্টেশনের চিত্র। ক্যাফেটেরিয়া, ফুড কোর্ট, ওয়েডিং লাউঞ্জ, সিনেমা হল, লিফট, এসকেলেটরের মতো সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে। রি-ডেভেলপমেন্টের পর এটিকে বিমানবন্দরের চেয়ে কম দেখাবে না। এই স্টেশন নির্মাণে আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে। (photo credit :wikimedia commons)

নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন

নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন

দেশের রাজধানী দিল্লির নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন শীঘ্রই গ্রিন বিল্ডিং হতে। এর মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়ে হয়েছে। আগামী দিনে পার্কিং, সৌরশক্তি, জল সংরক্ষণের মতো সুবিধাও এখানে পাওয়া যাবে। এই টার্মিনাল নির্মাণের জন্য মোট ৪৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ থেকে দুই – তিন বছরের মধ্যে এই রেলস্টেশনের নতুন রূপ দেখতে পাওয়া যাবে।



Source link