ভারতেই রয়েছে এমন অভূতপূর্ব এক সাগর, যার সৌন্দর্য দেখলে থমকে দু দণ্ড দাঁড়াবেন আপনিও

Spread the love


ভারতে অনেক অদ্ভুত জায়গা পাওয়া যাবে, যার রহস্য মাঝে মাঝে নিশ্চিত ভাবে সমাধান করা কঠিন। এমনই রহস্যে ঘেরা একটি জায়গা হল নিঃসন্দেহে ওড়িশার চাঁদিপুর সৈকত। ওড়িশা রাজ্যের ছোট শহর চাঁদিপুরের বালাসোর গ্রামের কাছে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত আসলে রহস্যে আবৃত একটি শান্ত, নির্জন স্থান। এই সৈকতের একটি অনন্য রহস্য রয়েছে। সমুদ্রের জল ক্ষণে ক্ষণে চোখের সামনে মিলিয়ে যায় এবং কিছু ক্ষণ পরে আবার দেখা দিতে শুরু করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রহস্যে ঘেরা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে। (All photo credit: pexels.com)

​চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত

চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এর পাশাপাশি আবার এই সৈকত হাইক অ্যান্ড সিক বিচ নামেও পরিচিত। ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ২০০ কিলো মিটার দূরে অবস্থিত তুলনায় কম বিখ্যাত এই সমুদ্র সৈকতটি বালাসোর গ্রামের কাছে অবস্থিত। এই সমুদ্র সৈকতটির কিছু অনন্য রহস্য দেখা যায়। সমুদ্রের জল ক্ষণে ক্ষণে চোখের সামনে মিলিয়ে যায় এবং কিছু ক্ষণ পরে আবার দেখা দিতে শুরু করে।

​সূর্যাস্তের পর চাঁদিপুর সৈকতের আশ্চর্যজনক দৃশ্য

নিম্ন ও উচ্চ প্রবাহের কারণে এই সাগরে জল কমে যাওয়ার প্রক্রিয়া দিনে দুই বার ঘটে। এই সৈকতে বেশি ক্ষণ থাকলে দেখবেন সৈকতটি যেন কিছু ক্ষণের জন্য উধাও হয়েছে। এবং কিছু ক্ষণ পর দেখবেন সৈকত যেন ফিরে এসেছে আবার। এ যেন একেবারে ম্যাজিক, অদ্ভুত কাণ্ডই বটে। যদিও এই প্রক্রিয়াটি এখানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জন্য নিতান্তই সাধারণ। কিন্তু এখানে আসা পর্যটকদের জন্য এই ব্যাপারটি একেবারেই নতুন, অভিনব।

​চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতে রাশি রাশি ঝিনুক

এই সৈকত দেখার জন্য অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ নিঃসন্দেহে রাশি রাশি ঝিনুক। কম প্রবাহের সময় সমুদ্রের তীরে অনেক সামুদ্রিক মুক্তো দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কাঁকড়া এবং ছোট মাছও সমুদ্র সৈকতে আসে। যাই হোক, আপনি প্রত্যেক বারই এই জিনিসটি দেখতে পাবেন না। এ ছাড়াও এখানে ছড়িয়ে থাকা ক্যাসুয়ারিনা গাছ এবং বালির টিলা এই জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

আরও পড়ুন: এই ৫টি সমুদ্র সৈকত খুবই ভয়ঙ্কর, মনে হবে ‘আত্মার ছায়া’ ঘুরছে আশপাশেই!

​চাঁদিপুরে দেখার মতো জায়গা অনেক

চাঁদিপুর বেড়াতে গেলে শুধু কি সমুদ্র সৈকতই দেখবেন? মোটেও না। সেই রহস্য ঘেরা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছিই অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে। যেমন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির, নীলগিরি, সাজনগড়, রেমুনা এবং ভিতরকণিকা। চাইলে সেই সব জায়গা ঘুরে আসুন সময় করে।

আরও পড়ুন: এখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি অ্যাডভেঞ্চার, খরচ জানলে রোমাঞ্চের নেশা ছুটে যাবে!

​চাঁদিপুরে আপনি কী ভাবে পৌঁছবেন?

চাঁদিপুর আসলে ওড়িশার আরও অনেক বড় শহরের সঙ্গে খুব ভাল ভাবে সংযুক্ত। এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল বালাসোর, যা এখান থেকে প্রায় ১৭ কিলো মিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদিপুরের নিকটতম বিমানবন্দর হল কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর।

তা হলে আর দেরি না করে এ বার পাড়ি দিন চাঁদিপুরের উদ্দেশ্যে।



Source link