বিশেষ এই দিনটি স্ত্রীর সঙ্গে কাটান দিঘার এই বিশেষ জায়গাগুলিতে, দিনটি জমে যাবে

Spread the love


দিঘা বাঙালির এক প্রিয় স্থান। এখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য যাতায়াত, থাকার জায়গা, ছুটি ম্যানেজ সবই সহজে হয়ে যায়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, বাঙালি পর্যটকদের কাছে দিঘা এক দারুণ ভরসা। হাতে দুই দিন থাকলেই দিঘা ঘোরা যায়। সকালে ভ্রমণ আর বিকেলে সমুদ্রের ধারে বসে প্রকৃতির রূপ দর্শন। আর সবচেয়ে বড় কথা দিঘা ঘুরতে পারেন একেবারে নিজের বাজেটের মধ্যে। তা এবারের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-টা স্ত্রীর সঙ্গে এই দিঘাতে কাটালে কেমন হয়?
হাজার দুয়েক টাকা পকেটে থাকলেই দিঘা ঘুরে নেওয়া যায় অনায়াসে। বাজেট সামান্য বাড়ালে তো বিলাস বহুল ভ্রমণ হয়ে যায়। তবে কেনাকাটার জন্য অতিরিক্ত খরচ হবে। এবারের ভ্যালেন্টাইন ট্যুরে ঘুরে আসতে পারেন দিঘা ও সংলগ্ন এই স্থানগুলি থেকে। (photo credit: pexels.com)

নিউ দিঘার সমুদ্র সৈকত

সত্যি বলতে কী, দিঘার প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র। এমন লোকের সন্ধানও মেলে যাঁরা প্রতি বছর দিঘা যান শুধু সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকবেন বলে। সমুদ্র দেখতে চাইলে ওল্ড এবং নিউ দিঘার সৈকত দুইই আছে। কিন্তু নিউ দিঘার সমুদ্রতটে হয়তো বেশি ভালো লাগবে। এখানে পায়ে হেঁটে ঘোরা যায়। সমুদ্র সৈকতে খেলাধুলো করে সময় কাটাতে পারেন। চাইলে সমুদ্রে সাঁতার কেটে, সৈকতে বালির পাহাড় গড়ে কিংবা চুপচাপ বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। সমুদ্রে সৈকতের সঙ্গেই পেয়ে যাবে ঘোড়া। হর্স রাইডিং করতে চাইলে একটা রাউন্ডের জন্য ৫০ টাকার মতো খরচ পড়বে। বেলুনে বন্দুক চালিয়ে লক্ষ্যভেদের জন্য খরচ পড়তে পারে ৩০ থেকে ১০০ টাকা। সমুদ্রের ধারে মালিশওয়ালাদের পেয়ে যাবেন। এরা বেশিরভাগই ছোটো ছোটো কিশোর কিশোরী। ৫০ টাকা দিলে তারা আরাম করে মালিশ করে দেবে। তবে রাতেরবেলা সৈকতে না যাওয়াই ভালো। (photo credit: wikimedia commons)

ওল্ড দিঘা সৈকত

ওল্ড দিঘা সৈকত

জমজমাট পরিবেশ পছন্দ করলে সোজা চলে যান ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকতে। এটিই এই শহরের প্রথম সমুদ্র সৈকত। অতীতে এটিই ছিল পর্যটকদের একমাত্র বেড়ানোর জায়গা। ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকত কেনাকাটার দারুণ জায়গা। সামুদ্রিক খাবারের প্রচুর স্টল পাবেন এখানে। সেই সব খাবারের স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। সমুদ্রের পাড়ে বসে সন্ধে কাটানোর আনন্দের কথা আর নাই বা বললাম। (photo credit: wikimedia commons)

শঙ্করপুর

শঙ্করপুর

ভিড়ভাট্টা পচ্ছন্দ না হলে ঘুরে আসতে পারেন শঙ্করপুর থেকে। দিঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শঙ্করপুরের দুটি রূপ। একটি নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত। আর অন্যটি কোলাহলে পরিপূর্ণ মৎস্যবন্দর। বন্দরে সবসময় ছোট, বড়, মাঝারি মাপের ট্রলার এবং জেলে নৌকা দেখতে পাবেন। সঙ্গে সমুদ্রে থেকে তুলে আঅনা টন টন ওজনের মাছ। এই বন্দর থেকেই পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ যায়। শঙ্করপুর প্রবেশের ডান দিকে রয়েছে এই মৎস্যবন্দরটি। আর বাঁ দিকে বাঁকলেই পেয়ে যাবেন নির্জন সমুদ্র সৈকত। সেখানে রযেছে হাজার হাজার ঝাউগাছের সারি। রয়েছে কেয়া গাছের ঝোপও। এউ সৈকতে ছোটোদের খেলাধুলো করতে ভালো লাগবে। আর সমুদ্রের তো কোনও তুলনাই হয় না। জমজমাট পারিবারিক পিকনিকের আদর্শ জায়গা শঙ্করপুর। এখানকার সূর্যাস্তের দৃশ্য অপূর্ব সুন্দর। (Representative photo credit: pexels.com)

উদয়পুর

উদয়পুর

দিঘা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উদয়পুর। ভ্যানে করে গেলে তিরিশ টাকার মতো খরচ হবে। সামুদ্রিক আমোদপ্রমোদের যাবতীয় ব্যবস্থা সেখানে রয়েছে। খাবার, খেলা, আড্ডা সবই পাবেন এখানে। দিঘা উপকূল এলাকার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন স্থান এটি। সমুদ্রে স্নান কিংবা ভেজা বালিতে হাঁটা ছাড়াও স্পিড বোটিং বা বানানা বোটিং, সাইক্লিং করতে পারেন। সমুদ্র সৈকতে খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী খাবারের স্টলে পেয়ে যাবেন মনের মতো খাবার। খাবার খেলে সমুদ্রের ধারে চেয়ার, ছাতা, টেবিল ফ্রি। এমনকি অ্যালকোহলও পেয়ে যাবেন এখানে। Representative photo credit: pexels.com)

তালসারি

তালসারি

দিঘা কিংবা শঙ্করপুর আগেই ঘুরে আসা হয়ে গেলে এবার ঘুরে আসতে পারেন তালসারি থেকে। ওড়িশার তালসারি আর দিঘার মধ্যে দূরত্ব ১০ কিলোমিটারের মতো। গাছপালা ঝোপের মাঝে পাখির কুজন শুনতে শউনতে সমুদ্রের আনন্দ মিলবে এখানে। পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এখানে পাবেন বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত, নদী এবং পাহাড়। পাবেন প্রচুর নারিকেল, তাল এবং ঝাউ গাছ। দিঘাগামী যে কোনও ট্রেন ধরে নিয়ে দিঘা পৌঁচ্ছে, সেখান থেকেই গাড়িতে করে চন্দনেশ্বরের মন্দিরের পাশ দিয়ে যেতে হয় এই অঞ্চলে। তালসারিতেও ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং লাল কাঁকড়ার দেখা মিলবে। তালসারি স্থানটিও বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি স্থান। (Representative photo credit: pexels.com)

চাঁদিপুর

চাঁদিপুর

ওড়িশার বালেশ্বর জেলার একটি সমুদ্রতট এই চাঁদিপুর সৈকত। এটি বঙ্গোপসাগরের কাছে এবং ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ২০৭.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পৌঁছোতে সময় লাগে সাত ঘণ্টার মতো। এই সমুদ্রতটের একটি বৈশিষ্ট্য হল যে, ভাটার টানে জল প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এই কারণে এই স্থানের আরেক নাম অদৃশ্য সমুদ্র। এবং বিদেশিদের কাছে এই নামেই এলাকাটি পরিচিত। আবার এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এখানকার জীববৈচিত্র্যও অন্যরকম। এখানকার সমুদ্রতটে এক বিপন্ন প্রজাতির লিমুলাস দেখতে পাওয়া যায়। চাঁদিপুর থেকে ঘুরে আসা যায় পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, দেবকুণ্ড জলপ্রপাত, নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির, ইমামী জগন্নাথ মন্দির, খিরাচরা গোপীনাথ মন্দির, বুড়িবালাম নদীর মোহনা সহ নানা স্থান। (Representative photo credit: wikimedia commons.com)



Source link