আ লা কার্টে দিয়েই প্রথমে এই নতুন পরিষেবা শুরু করা হবে –
ট্রেনে ভ্রমণকারী সাধারণ মানুষের বেশির ভাগই রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, এক দিনে পৌঁছে যাওয়া যায় এমন ভারত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম শ্রেণির ট্রেনের খাবার খেতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া ট্রেনের খাবার সম্ভবত কেউই পছন্দ করেন না। কারণ সেই সব খাবারে কোনও বৈচিত্রই দেখা যায় না। তার আর একটি প্রধান সমস্যা হল এই যে, ট্রেনের প্যান্ট্রি কারগুলি শুধু মাত্র সীমিত খাবার এবং পানীয় গাড়িতে রাখে। কিন্তু এ বার হয়তো আপনার এই সমস্যার অবসান হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ট্রেনে এ বার থেকে আ লা কার্টে চালু করে নানা ধরনের খাবারের আইটেম বিক্রি শুরু হতে চলেছে।
করোনার সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল নানা রকম –

২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়া আগে পর্যন্ত বিভিন্ন রুটের ট্রেনের প্যান্ট্রি কারে রুটি, নানা ধরনের পকোড়া, পনির চপ ইত্যাদির মতো অনেক ধরনের খাবার দেওয়া হত। রেলওয়ের মতে একে আ লা কার্টে আইটেম বলা চলে। এটি করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হতে শুরু করে। কিন্তু এখন আবার এই পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আই আর সি টি সি-এর এই আ লা কার্টে আইটেমের মেনু এবং খাবারের দাম উভয়ই সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।
কী কী খাবার পাওয়া যাবে ট্রেনে এবং সেগুলোর দামই বা কী –

ট্রেনে এখন থেকে পাওয়া যাবে নানা খাবার। যেমন রুটির দাম ১০ টাকা (প্রতি পিস), আলু বোন্ডা বা সুখিয়ান বা কোজুকাট্টার দাম ২০ টাকা, কচুরির দাম ১০ টাকা (প্রতি পিস), চাটনি বা সম্বর সহ ২ পিস ইডলির দাম ২০ টাকা, ব্রেড বাটার বা বাটার টোস্টের দাম ২০ টাকা, শিঙ্গাড়ার দাম ২০ টাকা, দক্ষিণ ভারতীয় ২ পিস বড়ার দাম ২০ টাকা, গরম বা ঠান্ডা দুধ প্রতি গ্লাস পাবেন ২০ টাকায়।
খাবারের বিস্তারিত মেনু দেখলে লোভ লাগবে আপনারও –

এ ছাড়াও আছে আরও নানা ধরনের খাবার। যেমন মশলা বা ডাল বড়া ২ পিসের দাম ৩০ টাকা, উপমা প্রতি প্লেটের দাম পড়বে ৩০ টাকা। এই উপমা আবার পাওয়া যাবে নানা ধরন। যেমন সুজির উপমা, গমের উপমা, ওটসের উপমা, সিমুইয়ের উপমা ইত্যাদি। ২ পিস দই বড়ার দাম পড়বে ৩০ টাকা, পকোড়ার প্লেটের দাম ৩০ টাকা, পেঁয়াজ বা আলু বা বেগুনের ভাজা পড়বে ৩০ টাকা করে। এ ছাড়া ধোকলার দাম ৩০ টাকা, ২ পিস পনির পকোড়ার দাম ৫০ টাকা, প্রতি পিস ভেজ বার্গারের দাম ৫০ টাকা, রাজমা বা ছোলার তরকারির প্লেটের দাম নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০ টাকা। এর পাশাপাশি পনির স্যান্ডউইচের দাম ৫০ টাকা, ভেজ নুডলস প্রতি প্লেটের দাম ৫০ টাকা, পাও ভাজি ৫০ টাকা প্লেট এবং গাট্টে কি সবজির প্রতি প্লেটের দাম পড়বে ৩০ টাকা করে।
তা হলে আর ট্রেনে চেপে খাওয়া কোনও সমস্যারই নয়। নিজের ইচ্ছে মতো খাবার অর্ডার দিন আই আর সি টি সি-র প্যান্ট্রি কারে। আর গরম গরম খাবার পেয়ে যান ট্রেনের মধ্যেই।