টেডি দিয়ে মনের কথা বলতে চান, তার আগে জেনে নিন কীভাবে এই পুতুল ভালুকের নাম টেডি হল

Spread the love


টেডি বিয়ার পছন্দ করে না এমন লোক বুঝি কেউ নেই। এই কিউট টেডি বিয়ারগুলি কিশোর-কিশোরীদের দারুণ প্রিয়। বিশেষ করে সব বয়সের মেয়েরাই টেডির জন্য পাগল। তা আপনি কি কোনও প্রিয় মহিলাকে খুশি করতে চান? তা সে যেই হোন না কেন, প্রেমিকা, বান্ধবী, স্ত্রী, বোন, মেয়ে কিংবা মা? তাহলে তাঁকে টেডি উপহার দিন। খুশিতে মেতে উঠবেন তিনি। আর যদি মনের মানুষকে নিজের করে পেতে তাঁকে নিজের দিকে আকর্ষিত করতে চান তাহলেও তাঁকে একটি টেডি উপহার দিতে পারেন। নানা রঙের, নানা আকারের, নানা মানের এবং নানা দামের টেডি বিয়ার কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই টেডি নামটি কোথা থেকে এসেছে এবং এটি তৈরির কাহিনি কী? অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই মিষ্টি দেখতে টেডি বিয়ারের জন্য জাদুঘর রয়েছে। আর সেগুলি রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টেডি বিয়ার সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য, যা আপনার ‘টেডি ডে’-কে করে তুলতে পারে আরও স্পেশাল। (All photo credit: pexels.com)

টেডি তৈরির গল্প

সালটা ১৯০২। মিসিসিপির গভর্নর অ্যান্ড্রু এইচ. লঙ্গিনো অনওয়ার্ডের আমন্ত্রণ পেয়ে সেই দেশে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ভাল্লুক শিকারের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মিসিসিপির প্রেসিডেন্ট। শিকার করতে গিয়ে ভাল্লুক না পেয়ে রুজভেল্ট ফিরে আসেন। প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তাঁর কয়েকজন সহযোগী একটি কালো ভাল্লুককে ধরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে দেন। এবং রুজভেল্টের শিকারের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট তাতে রাজি হননি। ভাল্লুককে গাছে বেঁধে হত্যা করার মধ্যে কোনও বীরত্ব নেই। তাই তিনি সেটিকে মারতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার বিবরণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

রুজভেল্টের ডাক নাম ছিল টেডি

রুজভেল্টের ডাক নাম ছিল টেডি

ক্লিফোর্ড বেরিম্যান নামে একজন কার্টুনিস্ট ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য একটি কার্টুন তৈরি করেছিলেন, যেখানে রুজভেল্টকে একটি ভাল্লুকের সঙ্গে দেখানো হয়েছিল। মজার ব্যাপার হল, সেই ভাল্লুকের ছবিটি তখনকার মানুষের দারুণ পছন্দ হয়। মরিস মিচটম নামে এক ব্যক্তি, যিনি ক্যান্ডি এবং খেলনার একটি দোকান চালাতেন, তিনি সেই ভাল্লুকটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তাঁর স্ত্রী সেই ভাল্লুকের আকারের একটি খেলনা তৈরি করেন। মরিসের দোকানে ঠাঁই পায় সেই বিয়ার। নাম হয় টেডি বিয়ার। এইভাবে বিশ্বকে একটি সুন্দর ছোট্ট টেডি উপহার দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা দরকার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ডাক নাম ছিল টেডি।

সবচেয়ে ছোটো টেডি

সবচেয়ে ছোটো টেডি

বিভিন্ন আকারের টেডি বিয়ার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ছোটো টেডিটি তৈরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার চেরিল মস্। সেই টেডিটি ছিল মাত্র ০.৩৫ ইঞ্চ লম্বা। শেরিল মস্ মাইক্রো বিয়ার তৈরির জন্য বিশ্ব বিখ্যাত।

দীর্ঘতম টেডি বিয়ার

দীর্ঘতম টেডি বিয়ার

এখন পর্যন্ত তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেডি বিয়ারটি ১৬.৮৬ মিটার লম্বা। এটি তৈরি করেছেন ডানা ওয়ারেন। এটি এক্সপ্লোরেশন প্লেস, উইচিটা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত হয়েছিল।

সবচেয়ে দামি টেডি বিয়ার

সবচেয়ে দামি টেডি বিয়ার

গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্ অনুসারে, ২০০০ সালে স্টিফ লুই ভিটনের তৈরি টেডি বিয়ার এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি টেডি বিয়ার। এই টেডি বিয়ার এখন কোরিয়ার জেজুর টেডি বিয়ার মিউজিয়মে দেখা যাবে। এর দাম প্রায় ১৩০,১৯০ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় এক লক্ষ টাকা।

টেডি বিয়ার জাদুঘর

টেডি বিয়ার জাদুঘর

বিশ্বজুড়ে অনেক টেডি বিয়ার জাদুঘর রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পাটায়ায় অবস্থিত টেডি বিয়ার মিউজিয়ামে ১২টি ছবির জোনের মাধ্যমে ১,০০০টিরও বেশি খেলনা প্রদর্শন করা হয়েছে। মজার কথা হল, দর্শনার্থীরা তাদের স্পর্শ করতে এবং তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারেন। পুরো জাদুঘরটি ধীরে সুস্থে দেখতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগে।

জাপানের বৃহত্তম টেডি বিয়ার জাদুঘর

জাপানের বৃহত্তম টেডি বিয়ার জাদুঘর

বিশ্বের সবচেযে বেশি টেডি জাদুঘর রয়েছে জাপানে। এই দেশের ইজু টেডি বিয়ার মিউজিয়ম, টাকায়ামা টেডি বিয়ার ইকো ভিলেজ এবং ইয়ামানাকা টেডি বিয়ার ওয়ার্ল্ড মিউজিয়ম দারুণ জনপ্রিয়। যুক্তরাজ্যের ডরসেট টেডি বিয়ার জাদুঘর, নিউ ইয়র্কের মার্বেল টাউনের ডেন, নেপলস্ ফ্লোরিডার টেডি বিয়ার জাদুঘর বিশ্ব বিখ্যাত।



Source link