চুলের জাদুঘর, হেয়ার মিউজিয়ামন, অ্যাভনোস মিউজিয়াম, অ্যাভনোস জাদুঘর

Spread the love


টার্কির কাপ্পাডোসিয়ার অ্যাভনোস শহরে একটি অদ্ভুদ জাদুঘর রয়েছে। এর পোশাকী নাম হেয়ার মিউজিয়াম। নামটা বেশ আকর্ষণীয় তাই না! আর হেয়ার মিউজিয়াম নামটা শুনে এর নামকরণে নিয়ে নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে? প্রশ্ন জাগছে যে, কেন এটিকে হেয়ার মিউজিয়াম বলা হয়। এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গ্যালিপ। ইনি চেজ গ্যালিপ নামেই বেশি পরিচিত এবং জনপ্রিয় ছিলেন। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের চুলের টুকরো এখানে রেখে যান। এই জাদুঘরটি বিশ্বের ১৫টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় জাদুঘরের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে৷ বর্তমানে জাদুঘরে ১৬,০০০-এরও বেশি মহিলার চুল রয়েছে। (Photo credit: wikimedia commons)

জাদুঘরের শুরু

জাদুঘরটি সম্পর্কে একটি মজাদার গল্প রয়েছে। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর ধরে এই গল্প সেখানকার লোকের মুখে মুখে প্রচলিত।এক ফরাসি মহিলার ফেলে যাওয়া চুল নিয়ে এই জাদুঘরটি শুরু হয়। (Photo credit: wikimedia commons)

জাদুঘরের গল্প

জাদুঘরের গল্প

প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগে ক্যাপাডোসিয়াতে বেড়াতে যাওয়া এক ফরাসী মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় এক স্থানীয় ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি ছিলেন পেশায় পাথর কাটার শ্রমিক। সেই মহিলারা প্রায় তিন মাস টার্কিতে ছিলেন। এবং এই সময়ে দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। (photo credit: pexels.com)

চুল কাটার ঐতিহ্য এখান থেকে শুরু হয়

চুল কাটার ঐতিহ্য এখান থেকে শুরু হয়

এরপর যেদিন মহিলার চলে যাওয়ার সময় হয়, তখন নিজের স্মৃতি স্বরূপ তাঁর চুল কেটে ওই ব্যক্তির ওয়ার্কশপের দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেন। তারপর থেকে, এখানে আসা প্রত্যেক মহিলাই এই গল্প শুনে তাঁর নিজের চুল কেটে দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেন। এভাবে ধীরে ধীরে এই স্থানটি চুলের জাদুঘরে পরিণত হয়। (photo credit: pexels.com)

চুলের জাদুঘর

চুলের জাদুঘর

পঁয়ত্রিশ বছর আগে কেবলমাত্র একজন মহিলার চুল দিয়ে শুরু হওয়া চুলের জাদুঘরটি আজ হাজার হাজার মহিলার চুলে শোভা পাচ্ছে। এই জাদুঘরের নাম ১৯৯৮ সালে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসেও স্থান পেয়েছে। (photo credit: pexels.com)

জাদুঘরের মালিক

জাদুঘরের মালিক

জাদুঘরের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা গ্যালিপ প্রতি বছর পর্যটকদের মধ্যে একটি লটারির আয়োজন করেন এবং ২০ জন ভাগ্যবানকে ক্যাপাডোসিয়া ভ্রমণের সুযোগ দেন। (photo credit: pexels.com)



Source link