চকোলেট একটি স্ট্রেস বুস্টার, এটি কীভাবে বিশ্বের আনাচকানাচে পৌঁছেছে জানেন?

Spread the love


চকোলেট। নামটার মধ্যেই কেমন যেন একটা প্রেম প্রেম ভাব আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো। তা সে চকোলেটের প্রতি প্রেম হোক বা প্রেমের জন্য চকোলেট। মোটকথা চকোলেট হল আজকালের স্ট্রেস বুস্টার। যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে চকোলেটের বিকল্প পাওয়া ভার। আর চকোলেট ডে-র দিন প্রিয়জনকে চকোলেট না দিলে তো দিনটাই বৃথা। সব মিলিয়ে জীবনের ছোট-বড় প্রতিটি যাত্রায় এই চকোলেট আপনাকে সহায়তা করে।
একটা সময় ছিল যখন কেউ চকোলেট সম্পর্কে কিছুই জানত না। পর্দার আড়াল থেকে বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হওয়া পর্যন্ত চকোলেটের যাত্রাটি বেশ আকর্ষণীয়। চকোলেট কখন এবং কীভাবে তৈরি হয়েছিল, কোথা থেকে এসেছে তা জানতে ইচ্ছে করছে কি? তাহলে চকোলেট দিবসে এই চকোলেটের ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক। (All photo credit: pexels.com)

চকোলেট শব্দের উৎপত্তি

কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি যে, চকোলেট শব্দটি অতীতে কেউ শোনেননি। শব্দটি মায়ান এবং অ্যাজটেক সভ্যতা থেকে এসেছে। অ্যাজটেক ভাষায় চকোলেট মানে টক বা তেতো।

প্রাচীন যুগের চকোলেট

প্রাচীন যুগের চকোলেট

আজকাল চকোলেটকে নিয়ে যতই হুজুগ উঠুক না কেন, এর বয়স কিন্তু নিছক কম নয়। চকোলেটের উৎপত্তি হয়েচিল সেই প্রায় ৪০০০ বছর আগে। এটি আবিষ্কার করেছিলেন মেক্সিকোর বাসিন্দারা। তাঁরা প্রথম আমাজন নদীর অববাহিকায় কোকোর গাছ দেখতে পান। এবং সেগুলি থেকেই চকোলেট তৈরি করতে শুরু করেন তাঁরা। তারপর চকোলেটকে পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা শুরু হয়। এছাড়াও চকোলেটকে আগে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

মেক্সিকো থেকে স্পেনে চকোলেট পৌঁছোনোর ইতিহাস

মেক্সিকো থেকে স্পেনে চকোলেট পৌঁছোনোর ইতিহাস

মেক্সিকোতে আবিষ্কৃত চকোলেটের ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয়। ১৫২১ সালে, অ্যাজটেক সাম্রাজ্য জয় করে স্পেন এবং মেক্সিকোকে নিজের সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন স্পেনের রাজা। এটি নিউ স্পেন নামে পরিচিতি লাভ করে। এভাবেই মেক্সিকোর চকোলেট পৌঁছে যায় স্পেনে। স্পেনের রাজার চকোলেটের স্বাদ এতটাই ভালো লেগেছিল যে তিনি স্পেনে কোকোর বীজ নিয়ে যান। এরপর এই চকোলেটের স্বাদ স্প্যানিশদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে বেশি সময় নেয়নি।

ব্যাথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়

ব্যাথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়

চকোলেট যখন স্পেনে প্রবেশ করে, তখন সকলের বিশ্বাস ছিল এটি অত্যন্ত ভেষজ গুণ সম্পন্ন। জ্বর হলেই রোগীকে চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকরা। এটি একটি ব্যাথানাশক বা পেইনকিলার হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এবং হজমের সমস্যা থাকলেও এটি খুব উপকারী বলে বিবেচিত হত।

ইউরোপে চকলেটের চাহিদা

ইউরোপে চকলেটের চাহিদা

তা বলে ভাববেন না যে মেক্সিকো আর স্পেনের মধ্যেই চকোলেটের জনপ্রিয়তা সীমাবদ্ধ ছিল। আসলে, কফি এবং চায়ের আগেই ইউরোপে চকোলেট পৌঁছেছিল। ১৮৫০ সালে, একজন ব্যক্তি প্রথম কঠিন চকোলেট (সলিড চকোলেট) তৈরি করেছিলেন। এটি তৈরি করা হয়েছিল কোকো পাউডার এবং চিনি মিশিয়ে। এরপর থেকে চকোলেটের চাহিদা বাড়তে থাকে। এখান থেকেই আধুনিক চকোলেটের জন্ম এবং আজ আমরা সবাই এই চকোলেট খেয়ে থাকি চেটেপুটে।

চকোলেট বই

চকোলেট বই

জেনে অবাক হবেন যে, চকোলেটের উপর বিশেষভাবে একটি বই লেখা হয়েছে। যার লেখক সোফি ও মাইকেল। বইটির নাম True History of Chocolate. এই বইয়ে চকোলেটকে ঈশ্বরের খাদ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। উনবিংশ শতকে চকোলেট সাধারণ মানুষের ঘরে প্রবেশ করেছিল। এবং আজ এটি আট থেকে আশি সকলের প্রিয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।



Source link