আন্দামান
পাহাড়ে না চড়ে সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর সঙ্গে যদি সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে চান তাহলে ঘুরে আসুন আন্দামান থেকে। স্কুবা ডাইভিং, জেট-স্কিটিং, প্যারা স্লাইডিং, বোটিং, ট্রেকিং সবই করতে পারবেন সেখানে। আন্দামান হল স্কুবা ডাইভিং-এর আদর্শ জায়গা। জলে ভয় না থাকলে হই চই করতে করতে এর আনন্দ নেওয়ার কোনও তুলনা হয় না। ভারত মহাসাগরের নীচে প্রবালের প্রাচীর এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের সংসার দেখার এটি এক অসাধারণ সুযোগ। সূর্যোদয় সূর্যাস্ত, সমুদ্র এবং বালি উপভোগ করতে যাঁরা ভালবাসেন তাঁধের আন্দামান ভালো লাগতে বাধ্য। হানিমুনের জন্য এখানকার সুন্দর সৈকতের চেয়ে ভালো কিছু বুঝি আর হতে পারে না। নীল দ্বীপ, ক্যাম্পবেল বে, হ্যাভলক দ্বীপ, পোর্ট ব্লেয়ার, লিটল আন্দামান দ্বীপ, সিঙ্ক আইল্যান্ড, ব্যারেন আইল্যান্ড, দিগলিপুর, মায়াবন্দর, রাঙাট, বারাটাং দ্বীপ এবং লং আইল্যান্ড হল এখানকার কিছু সৈকত। এগুলি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। (photo credit: pexels.com)
আলেপ্পি

বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর ইতালির ভেনিস। আর সেই ভেনিসের মতোই সুন্দর আমাদের দেশের আলেপ্পি। কেরলের অপূর্ব সুন্দর এই শহরটি ব্রিটিশ আমল থেকেই অত্যাধুনিক অথচ সাবেকি সাজে সজ্জিত। সচেতন নাগরিকদের কল্যাণে শহরের যৌবন এবং সোন্দর্য আজও অটুট। এখানকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অপূর্ব। আলেপ্পির চারদিকে সমুদ্র আর হ্রদ ছড়াছড়ি। এখানকার নদীগুলির জল অসম্ভব স্বচ্ছ এবং পরিবেশ। প্রতিটি নদী, হ্রদ সমুদ্র এবং একে অপরের সঙ্গে কখনও প্রাকৃতিক কখনও আবার কৃত্রিম উপায়ে সংযুক্ত। শহর ঘুরে দেখলে যে সমস্ত স্থাপত্য-ভাস্কর্য বা ভবনগুলি রয়েছে সেগুলি দেখলে ইতালির সুসজ্জিত শহরের কথাই মনে কারবে। সঙ্গে পরিষ্কার ঝকঝকে রাস্তাঘাট। আলেপ্পিতে গেলে হাউজ বোটে থাকতেই হবে। না হলে অসাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্ছিত হবেন। হানিমুন কাপলদের জন্য আলেপ্পি আদর্শ স্থান। (photo credit: pexels.com)
গোয়া

রোম্যান্টিক ছুটি বরং বলা ভালো হানিমুন কাটানোর অন্যতম সেরা ভারতীয় জায়গা হল গোয়া। গোয়ার সি বিচের মতো রোম্যান্টিক অথচ উচ্ছ্বল জায়গা আর বুঝি হয় না। আর শীতের সময় গোয়ার রূপ দেখেই প্রেমে পড়ে যান সকলে। হালকা রোদ গায়ে মেখে নিরিবিলিতে একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে সময় কাটানোর আনন্দ আর কিছুতে নেই। সারা বছর তো বটেই শীতের সন্ধ্যায় গোয়া আরও জমকালো হয়ে ওঠে। রাতের দিকে শীতশীতে ব্যাপারটা বাড়লেও, প্রেমের উষ্ণতাও ছড়ায় পাল্লা দিয়ে। ইচ্ছে হলে এখানেও অ্যাডভেঞ্চার করা যায়। তবে সেটা হতে হবে রোম্যান্টিক অ্যাডভেঞ্চার। (photo credit: pexels.com)
মানালি

হানিমুনের প্ল্যান যখন করছেনই তখন মানালি কিন্তু একটি দারুণ অপশন। ভারতের অন্যতম সেরা শৈলশহর মানালি হিমাচল প্রদেশের রাজধানী। এখানকার রাস্তাঘাট, অরণ্য, পর্বত, গাছপালা সবই অপূর্ব সুন্দর। ঠান্ডা আবহাওয়ায় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে এখানে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর আনন্দই আলাদা। মানালির অপূর্ব সুন্দর পাহাড় এবং জঙ্গলের কোনও তুলনা হয় না। পরিবার কিংবা ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এখানে এসে অনেকেই সময় কাটান। আবার দুজনেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হলে প্যারাগ্লাইডিং, র্যাপেলিং, রিভার রাফটিং, কোয়াড বাইকিং, ট্রেকিং, ওয়াইল্ড লাইফ স্পটিং করুন। সময়টা ভালোই কাটবে। (photo credit: pexels.com)
গ্যাংটক

সিকিম যেতে গেলে রাজধানী গ্যাংটকে একবার পা রাখতেই হবে। সেখান থেকে কীভাবে কোথায় যাবেন প্ল্যান করে নিন। সিকিমের চারটি দিক। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ। যত উত্তরে যাবেন ঠান্ডা তত বাড়বে। গ্রীষ্মকালেও সেখানকার ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গ্যাংটক থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সোংমো বা ছাঙ্গু লেক। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফিট উপরের এই লেকটি একবার চোখের দেখা না দেখলে মিস করবেন। সিকিমের একেক দিকের সৌন্দর্য একেক রকম। গরমকালেও সেখানে বেজায় ঠান্ডা। নাথু লা পাস, ইন্দো-চায়না বর্ডার, রুমটেক মনাস্ট্রি, বাবা মন্দির ঘুরে আসুন। জুন মাসে সিকিম ঘোরার আনন্দই আলাদা। এখান থেকে লাচুং কিংবা ইয়ুমথাং ঘুরে আসুন। হানিমুনের জন্য গ্যাংটক একটি উপযুক্ত স্থান। (photo credit: istock.com)