গোয়াতে বিনামূল্যে থাকার সুবিধা আছে, বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার নিয়ম জেনে নিন

Spread the love


গোয়াতে কম খরচে দারুণভাবে উপভোগ করার প্ল্যান থাকলে বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্যুরের কথা ভুলে যাওয়াই ভালো। কারণ এখানে বেড়াতে যেতে গেলে পকেট ভারি থাকতে হয়। এখানে ভ্রমণ বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু যে কোনও ভারতীয়র কাছেই যে গোয়া অত্যন্ত প্রিয় স্থান। বিশেষ করে বছরের শেষে এবং নববর্ষের সময়,গোায় বেড়াতে গিয়ে খাওয়া থেকে শুরু করে থাকা এবং ভ্রমণের খরচ সবই বেড়ে যায়। কিন্তু এসবের মাঝে গোয়ায় যদি একটি ফ্রি-তে থাকার জায়গা পেয়ে যান তাহলে? বিশ্বাস না হলেও সত্যি যে, খুব কম মানুষই জানেন যে এখানে একটি বিনামূল্যের হোটেল আছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, গোয়ার কোন জায়গায় বিনা পয়সায় থাকা যায় এবং সেখানকার শর্তাবলী কী কী। (All photo credit:istock.com)

​বিনামূল্যে থাকার জায়গা ‘পাপি চুলো’

পাপি চুলো একটি হোস্টেল। এখানে অতিথি হিসেবে নয়, থাকতে হবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। এসব হোস্টেলে কর্মী সংখ্যা খুবই কম। এমন পরিস্থিতিতে আপনি এখানে থেকে তাদের কাজে সাহায্য করতে পারেন। বিনিময়ে, এই হোস্টেল আপনাকে বিনামূল্যে থাকার সুবিধা দেয়।

​এখানে কী করতে হয়

এখানে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনাকে বারটেন্ডিং, রিসেপশন, হেল্প ডেস্ক, হাউসকিপিং এবং ট্যুর গাইডের কাজ করতে হবে। এই হোস্টেলগুলি সর্বদা এমন লোকদের সন্ধান করে যাঁরা এই কাজগুলিতে তাঁদের সাহায্য করতে পারে। এসব কাজে আপত্তি না থাকলে আগে থেকেই খোঁজ খবর করতে পারেন। যাতে শেষ মুহূর্তে কোনও সমস্যা না হয়। এখানে আপনি স্থানীয় মানুষ এবং তাঁদের জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, কাজ করার সময় নতুন বন্ধু তৈরি হয় এবং বিভিন্ন ধরণের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

​আরামবোল সমুদ্র সৈকতে বিনামূল্যে সারা দিন কাটান

গোয়া ভ্রমণের বাজেট আঁটসাঁট হলে চেষ্টা করুন বিনামূল্যে ভ্রমণের। গোয়ার সমুদ্র সৈকত হল সেই বিনামূল্যে আনন্দ উপভোগের স্থান। উত্তরে আরামবোল সৈকত থেকে দক্ষিণে কানাকোনা সৈকত পর্যন্ত বিস্তৃত বালিয়াড়িটি যেন খেলার মাঠ। ইচ্ছেমতো শীতল জলে সাঁতার কাটুন। সৈকত থেকে প্রচুর শঙ্খ সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে নানা নকশা এবং আকারের শঙ্খ পাবেন। আরও সবই পাবেন বিনামূল্যে।

​স্বেচ্ছাসেবী হন

গোয়ার উত্তরের মরজিম ও মান্দ্রেম এবং দক্ষিণের আগোন্ডা ও গালগিবাগায় অলিভ রিডলি কচ্ছপের আবাসস্থল। তাদের দেখাশোনার কাজ করতে পারেন। এছাড়াও, কচ্ছপ সংক্রান্ত বিভিন্ন সচেতনতা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় এনজিওগুলির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপের চেয়ে রাজধানী ‘মালে’ হানিমুনের পক্ষে বেশ সস্তা এবং আকর্ষণীয়

​রাতে কেনাকাটা

সূর্য অস্ত যাওয়ার পর গোয়ার রং যেন বদলে যায়। শনিবার করে আরপোরাতে রাতের বাজার এবং বাগা বিচে ম্যাসির নাইট মার্কেট অসাধারণ। এখান থেকে কম দামে অনেক কিছু কেনাকাটাও করতে পারবেন।

​ভিভা কার্নিভ্যাল

এখানে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়া কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। এই কার্নিভ্যালে গোয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দারুণভাবে চোখে পড়ে। এতে রঙিন ও জমকালো কুচকাওয়াজ আয়োজিত হয়। এছাড়াও নানা রং চঙে পোশাকে নৃত্যশিল্পী, সঙ্ংগীতশিল্পী ও অন্যান্য শিল্পীদের দেখা যাবে। তিন দিনের এই উৎসবটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: IRCTC নয়া উপহার! খরচের চিন্তা ছেড়ে নতুন বছরের আগেই গোয়া ভ্রমণ, টাকা মেটান EMI-এ



Source link