মানত পূরণ হলে পূজা উপাচার
ভক্তদের কাছে কামাখ্যা দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। তাঁদের বিশ্বাস দেবীর কাছে মানত করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। আর মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে এখানে কন্যা পূজা করা হয়। এছাড়াও পশু বলিরও চল রয়েছে এখানে। তবে হ্যাঁ, স্ত্রী পশু বলি দেওয়া হয় না।
কামাখ্যা মন্দিরের তিনটি বড় অংশ

কামাখ্যা মন্দিরে চারটি কক্ষ আছে। গর্ভগৃহ এবং তিনটি মণ্ডপ। গর্ভগৃহটি আসলে ভূগর্ভস্থ একটি গুহা। এখানে কোনও মূর্তি নেই। শুধু একটি পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়। গর্ভগৃহটি ছোটো এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন। ভিতরে ঢালু পাথরের একটি খণ্ড আছে। সেটি যোনির আকৃতি বিশিষ্ট। এটিতে প্রায় দশ ইঞ্চি গভীর একটি গর্ত দেখা যায়। একটি ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনের জল বেরিয়ে এই গর্তটি সবসময় ভর্তি রাখে। এই গর্তটিই দেবী কামাখ্যা নামে পূজিত এবং দেবীর পীঠ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কামাখ্যা মন্দির চত্বরের অন্যান্য মন্দিরগুলিতেই একই রকম যোনি-আকৃতিবিশিষ্ট পাথর দেখা যায়, যা ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনের জল দ্বারা পূর্ণ থাকে। দেবীর ঋতুচক্র চলাকালীন মন্দিরগৃহ তিনদিন বন্ধ থাকে।
দেবীর কোনও মূর্তি নেই

মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই, এখানে দেবীকে যোনি রূপে পূজা করা হয়। গুহার এক কোণে যোনির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
মন্দির সংলগ্ন নদী লাল হয়ে যায়

মন্দিরের কাছেই রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। জুন মাসে অম্বুবাীর সময় এই নদীর জল লাল হয়ে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস ওই সময় দেবী রজঃস্বলা হন। সেই সময়ে, মন্দিরের দরজা তিন দিন বন্ধ থাকে এবং চতুর্থ দিনে প্রজনন পরব পালিত হয়।
রক্ত দিয়ে মোড়ানো তুলা পাওয়া যায়

কামাখ্যা মন্দিরে ঋতুস্রাবের রক্তে মোড়ানো তুলা প্রসাদ হিসেবে পাওয়া যায়। এই তুলা পেতে ভক্তর দীর্ঘ লাইন পড়ে।
সাধু এবং অঘোরি

তন্ত্র সাধনার জন্যও এই স্থানটি খুব বিখ্যাত। এখানে সাধু ও অঘোরিদের যাতায়াত লেগেই থাকে। এখানে এখনও কালো জাদু করার প্রলন রয়েছে বলে মানুষের বিশ্বাস।