তবে হ্যাঁ, অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে বেশি সাহস যদি দেখাতে চান তাহলে সেই যাত্রাই শেষযাত্রা হয়ে যেতে পারে। কারণ প্রকৃতির রোষ এই পথগুলির মধ্যে অহরহ পড়ে। তাই সাবধান।
জোজিলা পাস কার্গিল, লাদাখ
শ্রীনগর থেকে লে যাওয়ার পথে রয়েছে জোজি লা পাস। ভয়ানক সংকীর্ণ এই রাস্তাটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক রাস্তা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর জোজি লা পাসের উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ফিট বা তিন হাজার মিটার। বছরের প্রায় সমস্ত সময়ই এই রাস্তা বরফে আবৃত থাকে। প্রায়ই ধস নামে। এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য অপূর্ব সুন্দর। কিন্তু এই পথ দিয়ে গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। চালকের সামান্য ভুলে ধরাধাম থেকে সোজা স্বর্গরাজ্যে সরাসরি পৌঁছে যাবেন মুহূর্তের মধ্যে।
হিন্দুস্তান তিব্বত হাইওয়ে, স্পিতি ভ্যালি

স্পিতি উপত্যকার হিন্দুস্তান তিব্বত হাইওয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর। ট্রান্স-হিমালয়ান অঞ্চলের এই রুক্ষ ভূখণ্ডটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তার তালিকার অন্তর্ভুক্ত। উচ্চ হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত হিন্দুস্তান তিব্বত হাইওয়ে দেশের একটি বিপজ্জনক রাস্তা। এখান দিয়ে বাস যাওয়ার সময় মনে হয় যেন বাসের চাকাগুলি দুলছে। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের প্রায়ই এই জায়গা দিয়ে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এগুলিই হল ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন, যেগুলি টানতে প্রায় ৪ থেকে ৫ টি ইঞ্জিন লাগে
তাগলাং লা পাস, লেহ লাদাখ

তাগলাং লা বা ট্যাংলাং লা হল ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ৫,৩২৮ মিটার উচ্চতায় উচ্চতায় অবস্থিত এক সুউচ্চ গিরিপথ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ উপশি থেকে টাংলাং লা পর্যন্ত দক্ষিণমুখী লেহ-মানালি মহাসড়কটি পাকা হয়েছে। কিন্তু পাসের উত্তর দিকের এখনও একটি খুব ছোটো কাঁচা জায়গা রয়েছে। এখান দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে লোকজনের দম বন্ধ হয়ে যায়।
লেহ মানালি হাইওয়ে, লাদাখ

লেহ-মানালি হাইওয়ে লাদাখের রাজধানী লেহকে হিমাচলপ্রদেশের মানালির সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি উত্তর ভারতের একটি ৪২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন স্বপ্নের মতো সুন্দর আর ঠিক ততটাই ভয়ঙ্কর। সুন্দর কিন্তু বিপজ্জনক রাস্তাটি মানালির সোলাং উপত্যকাকে হিমাচল প্রদেশের লাহৌল এবং স্পিতি উপত্যকা এবং লাদাখের জান্সকার উপত্যকার সঙ্গে যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ভারতে রয়েছে ৫টি ‘সুইজারল্যান্ড’, যা দেখার জন্য পর্যটকরা বিদেশভ্রমণও বাতিল করতে পারেন
কোলি হিলস রোড, নমক্কল

তামিলনাড়ুর কোল্লি হিলস্ রোডে কালাপ্পানাইকেনপট্টি থেকে শুরু করে ৭০টি বাঁক রয়েছে। এই বাঁকগুলি অনেকটা চুলের কাঁটার মতো বলে একে হেয়ার পিন বাঁখ বলা হয়। কল্লি মালাইকে আবার “মৃত্যুর পাহাড়” নামেও ডাকা হয়। কারণ রাস্তাটি গর্তে পরিপূর্ণ এবং রাস্তাটি এতই সরু যে সামনের গাড়িটি অতিক্রম করতে আপনার নিজের গাড়ি থামাতে হবে। ভারতের এই বিপজ্জনক রাস্তায় একেবারেই অন্য কোনও গাড়িকে ওভারটেক করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ভারতের এই জায়গাগুলিতে যেতে নাগরিকদেরও ‘ভিসা’ লাগে, অনুমতি ছাড়া সেখানে প্রবেশ নিষেধ