অপরিচ্ছন্ন সিমলা
উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় শৈল শহর হল সিমলা। রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সপ্তাহান্তে সিমলা ভ্রমণ দারুণভাবে উপভোগ করেন। যত দিন যাচ্ছে সিমলায় পর্যটকদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে শহরে অপরিচ্ছন্নতাও বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সিমলা বেড়াতে যান। সচেতনতার অভাবে অপূর্ব সুন্দর এই শৈল শহরটি দিন দিন আবর্জনার স্তূপে পরিণত হচ্ছে।
দার্জিলিং-এ ময়লা জমাট

অপরিচ্ছন্নতার হাত থেকে মুক্ত নয় বাঙালির প্রিয় দার্জিলিং-ও। যত দিন যাচ্ছে ততই আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে দার্জিলিং। গরম পড়লে দার্জিলিঙে পর্যটক আনাগোনা বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রায় সারা বছরই এখানে পর্যটকরা ভিড় জমান। আর পর্যটকদের অসচেতনতাই কারণেই এখানে সবচেয়ে বেশি ময়লা হয়।
মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারি

মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারি এক অপূর্ব সুন্দর শৈল শহর। কিন্তু হলে কী হবে, এই স্থানটিও বড় অপরিচ্ছন্ন। এই স্থানে প্রায় সারা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। পর্যটকরাই স্থানটির পরিচ্ছন্নতার দাবি করে থাকেন। যদিও পাঁচমারির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই অভিনব যে অপরিচ্ছন্নতা সত্ত্বেও এখানে পর্যটকদের ভিড় কম হয় না।
হিমাচলের ম্যাক্লিওডগঞ্জ

আমাদের দেশের জনপ্রিয় শৈল শহরের নাম উঠলে প্রথমেই মনে আসে হিমাচল প্রদেশের কথা। আর হিমাচলের অন্যতম জনপ্রিয় শৈল শহর হল ম্যাক্লিওডগঞ্জ। আগে এই স্থানটি সম্পর্কে পর্যটকরা কম খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু আজকাল এই শৈল শহর দারুণ জনপ্রিয়। আর এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে এখানকার অপরিচ্ছন্নতা। গ্রীষ্মকালে এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। ফলে স্থানটি দিন দিন নোংরা হয়ে চলেছে। তাই এখানে বেড়াতে যাওয়ার আগে পর্যটকদের অনুরোধ করা হয় যাতে এলাকাটি তাঁরা অপরিচ্ছন্ন করে না তোলেন।
তালিকায় আছে কাসৌলও

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, কাসৌল ছিল একটি পরিচ্ছন্ন এবং অফবিট পর্যটনকেন্দ্র। আগে প্রধানত হিপি সম্প্রদায়ের পর্যটকরাই এই স্থানে যাতায়াত করতেন। ক্রমে এই স্থানে পা রাখেন সাধারণ পর্যটকরা। আর তারপর থেকেই এই স্থানের হাল বেহাল হয়ে পড়ে। যেখানে আগে এখানে শুধু তরুণদের ভিড় থাকত, সেখানে বর্তমানে এখানে ভিড় জমান আট থেকে আশি। ভিড় বাড়তে থাকায় স্থানটি আর আগের মতো নেই। অপরিচ্ছন্নতাও দিন দিন বাড়ছে।
ঋষিকেশও নোংরা

রাজধানী দিল্লি থেকে ঋষিকেশ মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। শীত হোক বা গরম, সপ্তাহান্তে মানুষ এখানে আসেন। এই স্থানটর জনপ্রিয়তাও নিত্যদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিভার রাফটিং এর জন্য ঋষিকেশ সারা দেশে বিখ্যাত। ফলে দেশি বিদেশি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা এখানে ভিড় জমান। লোকসংখ্যা যত বাড়বে ততই যে এলাকার পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।