স্পেন
নববর্ষের প্রাক্কালে মধ্যরাতে স্পেনে এক ডজন আঙুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে প্রতিটি আঙুর আসন্ন বছরের নির্দিষ্ট মাসের সৌভাগ্যের সঙ্গে যুক্ত। মাদ্রিদ, বার্সেলোনার মতো কিছু বড় শহরে লোকেরা এলাকার প্রধান চত্বরে জড়ো হন এবং একসঙ্গে আঙ্গুর খান।
ডেনমার্ক

ডেনমার্কে প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের দরজায় পুরোনো প্লেট এবং গ্লাস নিক্ষেপ করে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়। শুনে দারুণ মজা পাচ্ছেন নিশ্চয়ই! ভাবছেন নিশ্চয়ই কেন আমাদের এখানেও এমন হয় না? আসলে ডেনমার্কের লোকজনের বিশ্বাস, দরজার সামনে যত ভাঙা প্লেট, গ্লাস জড়ো হয় পরিবারের জন্য নতুন বছরে ততই শুভ হবে। আবার এখানে মধ্যরাতে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে সেগুলির উপর লাফিয়ে পড়েন। তাঁদের বিশ্বাস, এরকম করলে তাঁদের জীবনে সৌভাগ্য আসবে।
ব্রাজিল

ব্রাজিলের নববর্ষ উদযাপনের প্রথাও বেশ অনন্য। এখানকার লোকেদের বিশ্বাস, New Year-এ বিশেষ অন্তর্বাস পরে বছরের আগামী দিনগুলিতে সৌভাগ্য বিরাজ করে। এই সময় লাল রং পরতে হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, লাল রঙের অন্তর্বাস পরলে জীবনে প্রেম আসে। হলুদ রঙের অন্তর্বাস পরলে অর্থ লাভ হয়।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়াই এবার এই সুন্দর দেশগুলোয় যেতে পারবেন, এরকম নববর্ষ উদযাপনে খুশি হবেন আপনার স্ত্রীও
তুরস্ক

রাত ১২ টার ঘণ্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তুরস্কের লোকেরা তাঁদের দরজায় লবণ ছিটিয়ে দেন। এরকম করলে সারা বছর ধরে জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি থাকে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ভারতে রয়েছে ৫টি ‘সুইজারল্যান্ড’, যা দেখার জন্য পর্যটকরা বিদেশভ্রমণও বাতিল করতে পারেন
কলম্বিয়া

নতুন বছর উপলক্ষে কলম্বিয়াতে এক অনন্য ঐতিহ্য পালিত হয়। এই ঐতিহ্যের পোশাকী নাম আগুয়েরো। এই প্রথা অনুযায়ী, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের খাটের নীচে তিনটি আলু রাখা হয়। একটি আলুর খোসা ছাড়ানো থাকে, দ্বিতীয় আলুটি খোসা সুদ্ধ থাকে এবং তৃতীয় আলুটি থাকে অর্ধেক খোসা ছাড়ানো। রাতে, প্রত্যেক ব্যক্তিচোখ বন্ধ করে সেই আলু বের করেন। যার হাতে যে আলুটি আসে সেই অনুযায়ী তাঁর বছরের ভবিষ্যৎবাণী হয়। ভবিষ্যত ব্যক্তির ভাগ্যে আর্থিক সংগ্রাম কেমন হবে তা নাকি নির্ধারণ করে সেই আলুগুলি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে এখানেই নাকি সবচেয়ে ভিড় হবে, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে আসুন ‘জিরো ভ্যালি’