এই খেলোয়াড়ের বাড়ির উপর দিয়ে বিমান ওড়া নিষেধ, এরকম আরও ৫ স্থানের উপরও রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা !

Spread the love


কম সময়ে বিমানে চেপে যাতয়াতের কোনও বিকল্প হয় না। অনেকেই আছেন যাঁরা বিমানে যাতায়াত করতে দারুণ পছন্দ করেন। বিমানের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে নীচের সুন্দর উপত্যকা, সাদা মেঘ আর নীল আকাশের মাঝে পাখিদের উড়ে যাওয়ার মতো এমন দৃশ্য দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বিশ্বের এমন কিছু স্থান রয়েছে যার উপর দিয়ে বিমান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ। এগুলিকে বলা হয় ‘নো ফ্লাই জোন’।
আজ্ঞে হ্যাঁ, এই বিশ্বে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পাইলটরা প্লেন ওড়াতে পারেন না। এর মধ্যে রয়েছে একজন বিখ্যাত ফুটবলার সেলিব্রেটির বাড়িও। নিশ্চয়ই ভাবছেন, তিনি কী এমন বড় সেলিব্রেটি যে তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে প্লেন যেতে পারবে না? তাহলে আসুন সেই সেলিব্রিটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, আর জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের আরও কয়েকটি ‘নো ফ্লাই জোন’-এর কথা।

মেসির বাড়ির উপর দিয়ে কোনও বিমান যায় না

সেলিব্রিটি খেলোয়াড়টি হলেন লিওনেল মেসি। তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। আর্জেন্টিনার সুপারস্টার ফুটবলার লিওনেল মেসির নাম জানেন না এমন লোক মেলা ভার। সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ জিতেছে তাঁর দল। মেসি বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যাঁর ঘরের উপর দিয়ে কোনও বিমান উড়ে যায় না। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেন এমন হয়? তাহলে জেনে রাখা ভালো যে, এর কারণ নিরাপত্তা বা মেসির জনপ্রিয়তা নয়। আসলে মেসি বার্সেলোনার যে স্থানে থাকেন, সেখানে পরিবেশের কারণে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। এই কারণেই গাভা এলাকার উপর দিয়ে ফ্লাইট যায় না।

ডিজনি পার্ক

ডিজনি পার্ক

ছোটোবেলায় টিভিতে ডিজনি ওয়ার্ল্ড দেখে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি এমন লোকের বুঝি খোঁজ মেলে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজনি পার্ক রয়েছে। কিন্তু 9/11-এর দুর্ঘটনার পর থেকে, ডিজনি পার্ক সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড বা ফ্লোরিডার ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডের ৩,০০০ ফিটের মধ্যে কোনও বিমান উড়তে দেওয়া হয় না। যদিও প্রাথমিকভাবে এই নিয়ম শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য ছিল, কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে সরকারিভাবে এই ঘোষণা করা হয় করা হয়।

তিব্বত

তিব্বত

বিশ্বের সর্বোচ্চ অঞ্চলের মধ্যে গণনা করা হয় তিব্বতকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই এলাকায় গড় উচ্চতা প্রায় ১৬,০০০ ফিট। উঁচু পাহাড়ের মতো কারণে এই জায়গাটি বিশ্বের নো ফ্লাই জোনের মধ্যে পড়ে। যদিও অনেক বাণিজ্যিক ফ্লাইট উঁচু পাহাড়ের উপর দিয়ে যাতায়াত করে, কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাইলটরা তিব্বতের উপর দিয়ে টেক অফ এড়িয়ে যান।

মাচু পিচু

মাচু পিচু

মাচু পিচু জায়গাটির নিজস্ব একটি ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। বিশ্বের অনেক অনন্য বন্যপ্রাণী এবং গাছপালা এখানে পাওয়া যায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাচুপিচুর মতো সুন্দর জায়গাকে দূষণ থেকে দূরে রাখতে এর উপর দিয়ে বিমান উড়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। এখানে যদি কোনও কারণে বিমান অবতরণ করতে হয় বা দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এখানকার বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

মক্কা

মক্কা

ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য মক্কার ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব অত্যধিক। এই পবিত্র স্থানের উপর দিয়ে কোনও বিমান ওড়ার অনুমতি নেই। ইসলামী বিশ্বাস অবজ্ঞা করে কোনও বিমান টেক অফ করলে সেই এয়ারলাইনকে জরিমানা দিতে হতে পারে।

তাজ মহল

তাজ মহল

বিশ্বের সপ্তমাশ্চর্যের অন্যতম আমাদের দেশের তাজমহল। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় নাম লিখিয়েছে এই স্মৃতিসৌধ। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি ইমারত এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ২০০৬ সাল থেকে এই এলাকাটিকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।



Source link