কোকথাং
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত জোরেথাং-এর কোকথাং একটি অপূর্ব সুন্দর জায়গা। পর্যটকদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য। দক্ষিণ-সিকিমের এই জায়গাটি সবুজে ঘেরা এক সুন্দর উপত্যকা। স্থানটিকে ঘিরে রেখেছে উঁচু পাহাড়। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে তুষারপাত হয়। আর তখনই পর্যটকরা এখানে ভিড় জমান। এখান থেকে সিকিমের কাবরু, বোকোহ এবং দানজোগরি চূড়ার দৃশ্য বাকরুদ্ধ করে দেয়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছেও কোকথাং অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানে ট্রেকিং সহ বিভিন্ন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকা যায়। (photo credit: pexels.com)
রঙ্গিত নদী

সিকিমের রঙ্গিত নদীকে যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন তাঁরাই হয়তো এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন। আর যাঁরা দেখেননি তাঁধের একবার অন্তত নিজের চোখে দেখা উচিত। সিকিম তো বটেই জোরেথাংয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী এই রঙ্গিত। পর্যটকদের খুব প্রিয় এই নদীর ধার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো বটেই এখানকার ওয়াটার স্পোর্টস্ ও দারুণ উপভোগ্য। এই ফেব্রুয়ারিতে সেখানে গেলে রিভার রাফটিং করতে পারবেন। এমনকি পাথরের উপর বসে নদীতে মাছরও ধরতে পারবেন। (photo credit: wikimedia commons.com)
নামচি

জোরেথাং-এর এক ছোট্টো গ্রাম নামচি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না তেমনই রোম্যান্টিক এখানকার আবহাওয়া। নামচি একটি ছোট্টো এবং সুন্দর হিল স্টেশন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা চার হাজার মিটারেরও বেশি। জোরেথাং থেকে নামচি পৌঁছাতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে। এই স্থানটিকে ‘স্কাই হাই’ও বলা হয়। এখানেও নানা অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি করা যায়। (photo credit: pexels.com)
কীভাবে পৌঁছাবেন জোরেথাং

জোরেথাং পৌঁছানো খুবই সহজ। এর নিকটতম বিমানবন্দর হল বাগডোগরা বিমানবন্দর। এখান থেকে ট্যাক্সি বা ক্যাব নিয়ে জোরেথাং পৌঁছোনো যায়।
ট্রেনে চেপে যেতে চাইলে এখানকার সবচেয়ে কাছের স্টেশনটি হল নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন। এখান থেকেও ট্যাক্সি বা ক্যাব করে জোরেথাং পৌঁছানো যায়। (photo credit: pexels.com)