আপনি কি জানেন মণিপুরের এই অদ্ভুত গ্রামে অবিবাহিত মেয়েদের মাটির হাঁড়ি বানানোর কোনও অনুমতি নেই ?

Spread the love


ভারতের বৈচিত্র্য আদতে এই ভূখণ্ডে বহু শতাব্দী ধরে বসবাসকারী স্থানীয় উপজাতিদের ফল। গোন্ড থেকে ভুটিয়া পর্যন্ত, এই এশিয়ান উপমহাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ছয় শতাধিক জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত। এবং প্রত্যেকের অনুসরণ করার মতো নিজস্ব স্বতন্ত্র ঐতিহ্য রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উপজাতিরা আর যাযাবরের মতো ঘুরে না বেড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করে। এমনই একটি জনবসতি হল আন্দ্রো নামক বিচিত্র এক গ্রাম। দেখে নিন কী কী কারণে এই গ্রামটিকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে তকমা দেওয়া হয়েছে। আর এখানকার এক অদ্ভুত নিয়মের কথা জানলে আপনি যারপরনাই অবাক হবেন। (photo credit: pixabay.com)

মণিপুরের গ্রামটির নাম আন্দ্রো –

ইম্ফল জেলার একটি ছোট গ্রাম ‘আন্দ্রো’ আসলে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান। এবং মণিপুর উপজাতিদের সৃজনশীল শিল্প কর্মের প্রতিনিধিত্ব করে এই গ্রাম্যটি। জায়গাটি একটি ঐতিহ্যবাহী মণিপুর গ্রামের নানা সংস্কৃতিকেও প্রদর্শন করে। এখানে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে, যা উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে বিভিন্ন ধরনের মৃৎশিল্প তুলে ধরে। মৃৎশিল্প ছাড়াও, এই কেন্দ্রে মণিপুরের উপজাতিদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় ২৯টি বিভিন্ন ধরনের পুতুলের সংগ্রহ রয়েছে। (photo credit: unsplash.com)

শুধু মাত্র বিবাহিত মহিলাদের জন্যই কি মৃৎপাত্র !

শুধু মাত্র বিবাহিত মহিলাদের জন্যই কি মৃৎপাত্র !

এই আন্দ্রো গ্রামটি মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত। আপনি এই গ্রামে গেলেই ঐতিহ্যবাহী, স্বতন্ত্র এবং উপজাতীয় মৃৎশিল্প দেখতে পাবেন। ঐতিহ্যবাহী পাত্রগুলির মধ্যে আপনি ওয়াংখাম, কাম্বি মাখং পানবা, ইশাইফু এবং কাম্বি ছাড়াও ওয়ালোম, ইউখুম, পুডোন্ড মাখং এবং এনগাংখা পাবেন। তবে এই মৃৎশিল্প সংস্কৃতির সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই যে, শুধু মাত্র বিবাহিত নারীরাই এই মাটির জিনিস তৈরি করতে পারবেন। অবিবাহিত মহিলাদের জন্য সে সব স্পর্শ করাও নিষিদ্ধ। গ্রামের বিবাহিত মহিলারা মাটি দিয়েই ফুলদানি, বাতি এবং পিগি ব্যাঙ্কের মতো নানা জিনিস তৈরি করে থাকেন। (photo credit: unsplash.com)

মুতুয়া জাদুঘর –

মুতুয়া জাদুঘর -

মুতুয়া বাহাদুর জাদুঘরটি গ্রামের উপকণ্ঠে অবস্থিত। ভবনটি সাধারণ জাদুঘরের মতো নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন কুঁড়েঘরে রয়েছে এই জাদুঘরের মধ্যে। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রত্নবস্তুর একটি বিস্তৃত সংগ্রহ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মৃৎপাত্র, মুদ্রা, চিত্রকর্ম, ধাতব গহনা, কাঠের খোদাই এবং আরও অনেক কিছু। স্থানটি শিল্পকর্মের আকারে সমৃদ্ধ মণিপুর সংস্কৃতিরই প্রতিনিধিত্ব করে। (photo credit: unsplash.com)

রয়েছে যাতায়াত করার ভাল সুবিধেও –

রয়েছে যাতায়াত করার ভাল সুবিধেও -

আন্দ্রো গ্রামটি এখনও তার পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে নানা কাজ করছে, রয়েছে উন্নয়নের নানা সুযোগও। তবে বাস, সাইকেল, ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার মতো সুবিধা এখানে রয়েছে। ফলে চাইলেই পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারেন এই গ্রামে। আর এই জায়গাটি দেখার সেরা সময় হল বছরের অক্টোবর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। (photo credit: unsplash.com)

তাই আর দেরি না করে আপনি এই মাটির নানা জিনিসপত্র কিনতে এবং মৃৎশিল্পের কৌশল শিখতে এখানে ঘুরতে যেতেই পারেন। তা হলে আপনি কখন এই মণিপুর গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? ঠিক করলেন কি!



Source link