যে কারণে রাতে ট্রেনের গতি বাড়ে –
রাতে ট্রেনের গতি বাড়ানোর অনেক কারণ রয়েছে। এর প্রথম কারণ, রাতে রেললাইনে চলাচলের সুযোগ নগণ্য হয়ে যায়। অর্থত রাতের বেলা রেললাইনে মানুষ ও পশুর চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ট্র্যাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করা হয় না, যার কারণে রাতে ট্রেনের গতি বেড়ে যায় খুব সহজেই। কোনও রকমে বিপদ হওয়ার আশঙ্কা তেমন না থাকায় রাতের বেলায় গতি বাড়ানও হয় ট্রেনের।
অন্ধকারে ট্রেন চালকের ঠিক কী সুবিধা হয় –

অন্ধকারে ট্রেন চালানোর একটি সুবিধা হল এখানে অনেক দূর থেকে সিগন্যাল দেখা যায়, যা দেখে ট্রেন চালক অর্থাৎ পাইলট বেশ অনেকটা দূর থেকেই ধারণা পান যে তাঁকে কিছু দূরত্বে ট্রেন থামাতে হবে কি না। এই কারণে, চালকের ট্রেনের গতি কমানোর প্রয়োজন হয় না এবং এটি যাত্রীদের মনে এই ধারণার জন্ম দেয় যে রাতে ট্রেনগুলি উচ্চ গতিতে চলে।
দিনের বেলায় ট্রেন সত্যি কি ধীর গতিতে চলে ?

দিনের বেলায়ও যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকে এবং এ সময় প্ল্যাটফর্ম ও রেলস্টেশন চত্বর জুড়ে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। এই কারণে দিনের বেলায় সময় বেশি লাগে। শুধু তাই নয়, দিনের বেলায় রেল লাইনেও মানুষ এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান। নিয়ম ভঙ্গ করে অনেকেই রেল লাইন পার হয়ে যান। এ হেন পরিস্থিতিতে খুব সাবধানে ট্রেন চালাতে হয় চালককে। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেনের গতি দিনের বেলায় কমিয়ে রাখতে হয় ট্রেন চালকদের।
ট্রেনে একসঙ্গে ভ্রমণ মজাদার করার নানা উপায় –

ট্রেন ভ্রমণকে মজাদার করে তোলার জন্য আপনি এই সহজ টিপসগুলি গ্রহণ করতে পারেন। নিম্নলিখিত এই টিপস মেনে চলুন। –
ক ) আপনি আপনার বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে মিলে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। এর ফলে আপনার পছন্দ মতো সঙ্গ থাকায় আপনি বিরক্ত হবেন না এবং দীর্ঘ যাত্রা বেশ সহজেই কেটে যাবে।
খ ) ট্রেনে মোবাইল সার্ফ করতে পারেন। কিন্তু অনেক যাত্রীর অনেক সময়ে ট্রেনে ইন্টারনেট পেতে অসুবিধে হয়। তাই যাত্রা করার হলে আগে থেকে মোবাইলে বা ট্যাবে সিনেমা কিংবা গানের অ্যালবাম ডাউনলোড করে রাখুন। এতে আপনার সময় অতি সহজে কেটে যাবে।
গ ) চাইলে মোবাইলে গেম খেলতে পারেন। তার জন্য ইন্টারনেট পেলে অনলাইনে আর তা না পেলে অফলাইন গেম খেলতে পারেন। তবে তা আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখুন।
ঘ ) আপনি যদি আপনার যাত্রা সহজ করতে চান, তা হলে শুধু মাত্র একটি লোয়ার বার্থ বুক করার চেষ্টা করুন। তা হলে দিনের বেলাতেও দিব্যি জানালার পাশে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাত্রা করতে পারবেন।
ঙ ) আপনার সঙ্গে নিজের একটি প্রিয় বই ক্যারি করুন। আপনি যখনই বিরক্ত বোধ করবেন বা বোর ফিল করবেন, তখন সময় কাটানোর জন্য নিজের ব্যাগে রাখা বই পড়তে পারেন। কিনে নিতে পারেন খবরের কাগজ। সেখানে খবর পড়ার পাশাপাশি শব্দছকও করতে পারবেন।
চ ) এ ছাড়াও খাওয়া এবং নরম পানীয় পান করার জন্য আপনার কাছে ব্যাগ ভরে খাবার রাখুন। খাবার না থাকলে যাত্রা পথে ট্রেনের হকারদের কাছ থেকে বা রেল স্টেশনের ভেন্ডারদের কাছ থেকে কিনে খেতে পারেন সহজেই।