আপনি কি আগামী জানুয়ারি হনিমুনে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন? তা হলে আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই ৫টি জায়গা দারুণ পছন্দ করবেন

Spread the love


বিয়ের পর ইদানীং কালে যে কোনও নব দম্পতিদের জন্যই হনিমুনে যাওয়ার গন্তব্য ঠিক করার কাজটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না, কোন ঋতুতে যাবেন বা কোথাও বেড়াতে গেলে কেমন আবহাওয়া পাবেন অথবা ঠিক কী ভাবে ঘুরতে পারবেন সেই জায়গায়, এই সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখা তাই খুবই জরুরি। আপনিও যদি এই শীত কালে সবে মাত্র বিয়ে করে থাকেন এবং আগামী জানুয়ারি হনিমুনে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, তা হলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত জায়গাগুলি দেখে নিন। সম্ভবত আপনার স্ত্রীও এ বার এই জায়গাগুলি পছন্দ করবেন। বিদেশে ঘোরার মতো এমন অনেক জায়গার অপশনের মধ্যে আমরা এ বার আপনাদের দু’জনের জন্য নিয়ে এসেছি দারুণ কিছু জায়গা। অবসরে একসঙ্গে বসে দেখুন এবং একসঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিন যে, এ বার তা হলে আপনারা কোথায় বেড়াতে যেতে পারেন।(All photo credit: unsplash.com)

​মলদ্বীপ –

এই জায়গাটি দেখলে মনে হয়, যেন স্বর্গের প্রতিটি রত্নই পৃথিবীর মাটিতে নেমে এসেছে। এখানকার নীল সমুদ্র সৈকত এবং তার তীরে পড়ে থাকা সাদা বালি অন্তত সৌন্দর্যের দিক থেকে আপনাকে নিরাশ করবে না। এখানকার ভিলা, রঙিন রিসর্ট আর চারপাশে বয়ে চলা সমুদ্র দেখে মনে হবে যেন এক টুকরো স্বর্গ এখানে ভেসে আছে। জানুয়ারি মাস নিঃসন্দেহে মলদ্বীপ ভ্রমণের সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি হনিমুনে যেতে চান, তবে আপনি আপনার বিকল্প হিসাবে মলদ্বীপ বেছে নিতে পারেন। স্নরকেলিং এবং ডাইভিংয়ের জন্যও এই মাসটি সেরা সময়।

​নিউজিল্যান্ড –

অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য নিউজিল্যান্ড মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য হিসাবে একটি লুকানো রত্ন বললে একেবারে ভুল বলা হবে না। এর সুন্দর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মধ্যেই আপনি দেখতে পাবেন তুষারাবৃত পাহাড়, সবুজ পাহাড়, হিমবাহ, হ্রদ এবং এমন অনেক আকর্ষণ, যা আপনি দূর-দূরান্তের অন্য কোনও দেশে দেখতে পাননি। বিচ হাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল লাউঞ্জ… নব দম্পতিরা এখানে বাজেট ফ্রেন্ডলি থাকার জায়গা পাবেন সহজেই। জানুয়ারি মাস নিউজিল্যান্ড ভ্রমণের জন্য একেবারে উপযুক্ত সময়।

​থাইল্যান্ড –

সৈকত এবং অনন্য সাধারণ দ্বীপগুলির একটি দীর্ঘ তালিকা থাকায় থাইল্যান্ড ইদানীং কালে হনিমুনারদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যখন একটি জায়গা সম্পর্কে কেউ ঠিক বেছে নিতে পারেন না, তখনই মানুষ শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের জন্য পরিকল্পনা করেন। আপনি যদি এখানকার সংস্কৃতির এক টুকরো আস্বাদন গ্রহণ করতে চান, তা হলে আপনি থাইল্যান্ডের উপজাতীয় স্থানগুলিও দেখতে পারেন। এখানকার উত্তরে খাও সোক ন্যাশনাল পার্কের এলিফ্যান্ট হিলসে দম্পতিদের জন্য অনেক কিছু করার মতো আছে। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য, আপনি এখানে হাতির পিঠে চড়ে সফর করে নিতে পারেন। জানুয়ারি মসে ঘুরে দেখার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হবে না, এ কথা হলফ করে বলা যায়।

​অস্ট্রেলিয়া –

অস্ট্রেলিয়াও মধুচন্দ্রিমার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এখানে আপনি পেঙ্গুইনদের সমুদ্রে লাফিয়ে পড়া ও তাদের হুটোপাটি দেখতে দেখতে বেশ দুর্দান্ত সময় কাটাতে পারেন। কোনও সন্ধ্যায় এক গ্লাস ওয়াইন হাতে নিয়ে শীতল বাতাসের আমেজ গায়ে মাখলে আপনারা দুজনেই আরও বেশি করে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠতে পারেন। আপনি যদি বিচকম্বিং পছন্দ করেন, তা হলে বন্ডি বিচ আপনার জন্য হতে পারে একটি দুর্দান্ত বিকল্প। একটি সুন্দর সন্ধ্যার জন্য আপনি ডার্লিং হারবারে যেতে পারেন বা লাইভ মিউজিক বাজানো রেস্তোঁরাগুলির একটিতেও যেতে পারেন। মোদ্দা কথা, অস্ট্রেলিয়ায় হনিমুন করতে এলে আপনার করার বা দেখার মতো রয়েছে অনেক কিছুই।

​দুবাই –

দুবাই গ্ল্যামারে পূর্ণ, মধ্যপ্রাচ্যের এমন একটি শহর যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আকাশচুম্বী অট্টালিকা এবং সুপারসাইজড শপিং মলগুলি দেখিতে যাওয়ার জন্য বহু মানুষ মুখিয়ে থাকেন। আর এই ধরনের স্থাপত্যও আসলে এটিকে একটি অনন্য শহর করে তুলেছে। এখানকার বিলাসবহুল জীবন আপনাকে কিছু সময়ের জন্য এখানে থাকতে বাধ্য করবে। রোম্যান্টিক ভাবে রাত কাটানর জন্য আপনারা দুজন এখানে লং ড্রাইভ করতে যেতে পারেন, অথবা কোনও একটি পাবে যেতে পারেন কিংবা দুবাই সৈকতের পাশের উঁচু ভবনগুলি দেখতে যেতে পারেন। দুবাইতে হনিমুনে গিয়ে করার মতো আছে অনেক কিছুই। শুধু আপনাকে বেছে নিতে হবে ঠিক কী করবেন।



Source link